Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PM Narendra Modi: মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ প্রধানমন্ত্রীর! নিষেধের কারণও জানালেন নিজেই

PM Modi in ISRO: কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবেই মুখ্য়মন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, যা সরকারি প্রোটোকল বিরুদ্ধ।

PM Narendra Modi: মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ প্রধানমন্ত্রীর! নিষেধের কারণও জানালেন নিজেই
ইসরোর সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদী।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2023 | 5:04 PM

নয়া দিল্লি: বিদেশ সফর থেকে ফিরেই সাত সকালে ইসরোর সদর দফতরে ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেখানে গিয়ে তিনি চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত গবেষক-বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই ইসরো সফর নিয়েও তৈরি হল বিতর্ক। কংগ্রেসের (Congress) দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, কারণ তিনি ওঁদের সহ্য করতে পারছেন না। যদিও যাবতীয় বিতর্ক দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই। কেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, তার সাফাই দিলেন।

চন্দ্রযান-২ মিশনের সাক্ষী থাকলেও, চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদের বুকে অবতরণের দিন দেশে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখান থেকেই তিনি ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্য়মে সাক্ষী ছিলেন চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে দেশে ফিরেই তিনি সকলের সঙ্গে দেখা করবেন। সেই কথাও রাখলেন তিনি। শনিবার সকালে গ্রিস থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরুতে পৌঁছন। সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান ইসরোর সদর দফতরে। তবে এ দিন ইসরোর দফতরে দেখা যায়নি কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বা উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে। এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবেই মুখ্য়মন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলেন, যা সরকারি প্রোটোকল বিরুদ্ধ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স (টুইটারের নতুন নাম) বলেন, “ওনার (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিবাদন জানানোর জন্য় উনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর উপরে এতটাই বিরক্ত হয়েছেন যে ইচ্ছাকৃতভাবেই তিনি মুখ্য়মন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে আসতে বারণ করেছিলেন। এটা নীচু স্তরের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী কি ভুলে গিয়েছেন যে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর, তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণের পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের আগে আহমেদাবাদে স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়েছিলেন?”

যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই বিতর্ক দূর করেন। বেঙ্গালুরুর হ্যাল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ভোরবেলায় মন্ত্রীদের যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, তার জন্যই বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছি। আমি নিজেও জানতাম না কখন বেঙ্গালুরুতে পৌঁছব, সেই কারণে আমি মুখ্য়মন্ত্রী, উপমুখ্য়মন্ত্রী ও রাজ্যপালকে ওত সকালে বিমানবন্দরে আসতে বারণ করেছিলাম।”

প্রসঙ্গত, চন্দ্রপৃষ্ঠে যে জায়গায় ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তার নাম দিয়েছেন শিবশক্তি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ যে স্থানে ভেঙে পড়েছিল, তার নাম দেন তিরঙ্গা। যে দিনে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণ করেছিল, সেই দিন অর্থাৎ ২৩ অগস্ট এবার থেকে জাতীয় মহাকাশ দিবস বা ‘ন্যাশনাল স্পেস ডে’ হিসাবে পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।