Assam Flood: ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দার, বন্যার জেরে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিল প্রতিবেশী রাজ্যেও

Assam Flood: গত ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার বৃষ্টির কারণে বারাক উপত্যকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। নতুন করে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। হোজাই ও কাচার জেলাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Assam Flood: ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দার, বন্যার জেরে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিল প্রতিবেশী রাজ্যেও
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 6:57 AM

গুয়াহাটি: যত সময় এগোচ্ছে, ততই ভয়াবহ হয়ে উঠছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি (Assam Flood)। বিগত এক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে অসমে। প্রাক-বর্ষা মরশুমি বৃষ্টির কারণে এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমশ জলস্তর বাড়ছে বিভিন্ন নদীতে, রাজ্যের প্রায় ২৭টি জেলা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭টি জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬.৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনও অবধি ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে ভারতায় সেনাবাহিনীও। বুধবারই বন্যার জেরে অসমের দারাং জেলায় একজনের মৃত্যু হয়। এরফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯-এ। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ লক্ষ। অসমের বন্যার জেরে প্রভাব পড়েছে মিজোরাম ও ত্রিপুরায়। দুই রাজ্যেই প্রবল জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ত্রিপুরাতে পেট্রোল-ডিজেল বিক্রিতে লাগাম টানা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন গর্ভবতী ও নতুন মায়েরা রয়েছেন। প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি শিশুরাও রয়েছে শিবিরে। আপাতত জাতীয় সড়ক ও উচু জায়গাগুলিতে অবস্থিত স্কুলেই ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার বৃষ্টির কারণে বারাক উপত্যকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। নতুন করে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। হোজাই ও কাচার জেলাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই জেলাতেই প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিগত কয়েকদিনে সেনাবাহিনী প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষকে হোজাই জেলা থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, বন্যার জেরে বিগত পাঁচদিন ধরে দিমা হাসাও জেলার সঙ্গে সংযোগ সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে যে ধস নেমেছে, তার ফলেই সড়ক ও রেল পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বারাক উপত্যকাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক বিমান সংস্থা ফ্লাইবিগ-র সঙ্গে চুক্তি করে বারাক ভ্যালি থেকে বন্যা বিপর্যস্ত মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানে উদ্ধারের জন্য মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা অবধি ধার্য করা হয়েছে। অতিরিক্ত যা খরচ হবে, তা সরকারের তরফে বহন করা হবে। কেন্দ্রের তরফেও সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে।