Varavara Rao: ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় ভারভারা রাও-কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত

Bhima-Koregaon case: বুধবার (১০ অগস্ট) ভীমা-কোরেগাঁও হিংসা মামলায় পি ভারাভারা রাওকে তাঁর স্বাস্থ্যগত কারণে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিজের পছন্দমতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলেও, তাঁকে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।

Varavara Rao: ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় ভারভারা রাও-কে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত
ভারাভারা রাওকে জামিন দিল শীর্ষ আদালত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 2:38 PM

নয়া দিল্লি: বুধবার (১০ অগস্ট) ভীমা-কোরেগাঁও হিংসা মামলায় পি ভারাভারা রাওকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৮৩ বছরের তেলেগু কবি ও মানবাধিকার কর্মীকে তাঁর স্বাস্থ্যগত কারণে চিকিৎসা করানোর জন্যই জামিন দিল আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, তাঁর পছন্দ মতো যে কোনও চিকিৎসা সহায়তা নিতে পারবেন ভারাভারা রাও। তবে, এনআইএ-কে তা জানাতে হবে। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারাধীন এলাকা ছেড়ে যেতে পারবেন না। ‘স্বাধীনতার অপব্যবহার’ না করার বিষয়েও ভারভারা রাও-কে সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় কোনও সাক্ষীর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না তিনি।

এর আগে বম্বে হাইকোর্টেও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে জামিনের আবেদন করেছিলেন ভারাভারা রাও। সেই সঙ্গে বলেছিলেন তিনি হায়দরাবাদে ফিরে যেতে চান। সেখানে গিয়েই চিকিৎসা করাতে চান। কিন্তু, গত ১৩ এপ্রিল তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপরই হাইকোর্টের সেই রায়কে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে ভারাভারা রাও-এর আইনজীবী বলেছিলেন, “আবেদনকারী একজন ৮৩ বছর বয়সী প্রখ্যাত তেলেগু কবি এবং বক্তা। বিচারাধীন বন্দি হিসাবে তিনি দুই বছরের বেশি কারাবাস করেছেন। তাঁর যা বয়স এবং যেভাবে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে, তাতে তাঁর বন্দিদশার মেয়াদ আরও বাড়লে তাঁর নিশ্চিত মৃত্যু ঘটবে।” এর আগে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ অগস্ট ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে, ভারাভারা রাও-কে তাঁর হায়দরাবাদের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে, ওই বছরেরই ১৭ নভেম্বর তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে মহারাষ্ট্রের তালোজা সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল।

এই মামলার সূত্রপাত ঘটেছিল ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর। মহারাষ্ট্রের পুনেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভে ভারাভারা রাও এবং অন্যান্য বক্তারা উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ওই উসকানিমূলক বক্তৃতাগুলির জেরেই তার পরের দিনই, ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০তম বার্ষিকিতে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ আরও দাবি করেছিল, নিষিদ্ধ গোষ্ঠী মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গই ওই কনক্লেভের আয়োজন করেছিল। এমনকি, কিছু কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে এমনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যে ওই কনক্লেভে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল।