Cyclone Biparjoy: সকাল থেকে মুখ ভার আকাশের, কালো মেঘের উকি, ‘বিপর্যয়’ই কি আনবে স্বস্তির বৃষ্টি?
Weather Forecast: মৌসম ভবনের তরফেও আগামী কয়েকদিন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরব সাগর উত্তাল থাকায় আগামী তিন-চারদিন কর্নাটকের মৎসজীবীদের সাগরে যেতে বারণ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় (Cyclone Biparjoy)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বিপর্যয়, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানানো হল মৌসম ভবনের (IMD) তরফে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী তিনদিনে ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরের উত্তর-উত্তর পশ্চিমদিকে এগোতে থাকবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হতে পারে পাকিস্তানে (Pakistan)। তবে এখনও অবধি ভারত, ওমান বা ইরানে এই ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরের উপরে আটকে পড়েছে মৌসুমি বায়ু। এর ফলে বর্ষার প্রবেশে দেরি হচ্ছে।
বুধবার রাতে মৌসম ভবনের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়, তাতে জানানো হয় বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপরে অবস্থান করছে। গোয়া থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে এবং মুম্বই থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দ্রুত শক্তি বাড়াচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। সাধারণ ঘূর্ণিঝড় থেকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যেভাবে মেঘ জমছে, তাতে আগামী ১২ জুনের মধ্যে তা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
বর্তমানে গুজরাটের পোরবন্দর থেকে ১০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সবধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, মৌসম ভবনের তরফেও আগামী কয়েকদিন উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আরব সাগর উত্তাল থাকায় আগামী তিন-চারদিন কর্নাটকের মৎসজীবীদের সাগরে যেতে বারণ করা হয়েছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকলেও, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে তার শক্তি অত্যন্ত কম থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর পথে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগামী কয়েকদিন আরব সাগরেই বন্দি থাকবে মৌসুমি বায়ু। এর ফলে বাংলায় বর্ষার পৌঁছতে দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।পরিস্থিতি অনুকূল হতে আরও ১-২ দিন সময় লাগতে পারে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।