একটা নয়, পাঁচ খানা বিয়ে করতে গিয়েই ধরা পড়ে গেলেন মহিলা, গোটা চক্রটা ধরে ফেলল পুলিশ

Marriage Fraud: দয়ানন্দ ও কোমলের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। তাঁর বন্ধু বাসভরাজু তাঁকে লক্ষ্মী নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে বিয়ের এজেন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

একটা নয়, পাঁচ খানা বিয়ে করতে গিয়েই ধরা পড়ে গেলেন মহিলা, গোটা চক্রটা ধরে ফেলল পুলিশ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: AI Generated Image
Follow Us:
| Updated on: Aug 23, 2024 | 6:21 PM

কর্নাটক: পুলিশের কাছে ক্রমাগত অভিযোগ যাচ্ছিল। বিয়ের নামে এ কী ঘটছে! অবশেষে হাতেনাতে গোটা চক্রটা ধরে ফেলল পুলিশ। দুই সহযোগী ও এক দালালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক মহিলা এক-দুজন নয় পাঁচজনকে বিয়ে করে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার খোঁজ করতে গিয়েই চক্রের পাণ্ডাদের ধরে ফেলেছে পুলিশ।

‘টাইমস নাউ’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃষি বিশেষজ্ঞ পলক্ষইয়া নামে এক ব্যক্তি ২০২৩ সালের নভেম্বরে গুব্বি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কোমল নামে এক মহিলা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় থেকেই এই চক্রের পিছনে ধাওয়া করছিল পুলিশ।

পলক্ষইয়ার ছেলে দয়ানন্দ ও কোমলের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। তাঁর বন্ধু বাসভরাজু তাঁকে লক্ষ্মী নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে বিয়ের এজেন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর কোমল তাঁর বান্ধবীদের নিয়ে পলক্ষইয়ার বাড়িতে যান। সেই অনুষ্ঠানে সিদ্দাপ্পা এবং লক্ষ্মীও উপস্থিত ছিলেন। তারা দুজনেই নিজেদের কোমলের মামা ও পিসি বলে পরিচয় দেন।

দালালি ফি হিসেবে লক্ষ্মীকে আড়াই লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন পলক্ষইয়া। এছাড়া কনেকে শাড়ি ও গয়না কেনার জন্য টাকাও দেওয়া হয়। মঙ্গলসূত্র ও কানের আংটিও দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের তিনদিন পর কোমল চলে যান। তিনি জানান, বিয়ের পর মামার বাড়ি যাওয়া দরকার। এরপর তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার আরও চারটি বিয়ের ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, কোমল কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের মিরাজের বাসিন্দা আরেকজনকে বিয়ে করেছিলেন। চক্রের অন্য সদস্যদের খোঁজ চলছে।