করোনা ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মাঝেই ডেঙ্গুর আশঙ্কা মাথাচারা দিচ্ছে রাজধানীতে
দীর্ঘ লকডাউনের কারণে দিল্লির খাল-বিল, নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে করোনার ভ্রুকূটির মধ্যেই মাথাচারা দিচ্ছে আরও দুই প্রাণঘাতী রোগ। শুরু হয়েছে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা।
জ্যোতির্ময় রায়: দেশের রাজধানী দিল্লিতে মে মাসের প্রথম ২১ দিন করোনায় মৃত্যুর শতকরা হার ছিল ২.৫ শতাংশ। যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিল্লিতে মে মাসে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২.৬ লক্ষ। এই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬,৬৮৪ জনের। তবে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক বিষয় হল, দেশের সবচেয়ে বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। তবে লকডাউনের ফলে করোনা সংক্রমণের গতি অনেকটাই কমেছে রাজধানীতে। কিন্তু নতুনভাবে হানা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। এমন পরিস্থিতিতে আবার নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে দিল্লিবাসী।
সামনে বর্ষাকাল। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে দিল্লির খাল-বিল, নালা-নর্দমা পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে করোনার ভ্রুকূটির মধ্যেই মাথাচারা দিচ্ছে আরও দুই প্রাণঘাতী রোগ। শুরু হয়েছে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা।
দিল্লিতে বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডেঙ্গুর প্রকোপও দেখা যায়। আসন্ন সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত মামালায় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়ে রাজ্য সরকার এবং পৌর সংস্থাগুলিকে একটি নোটিস জারি করেছে।
রাজধানীতে মশার উপদ্রব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্ট সোমবার নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে করোনা মহামারির মধ্যে মশাজনিত রোগগুলি সঙ্কট আরও বাড়তে পারে। যা পরিস্থিতকে আরও সঙ্গীন করে তুলবে। বিচারপতি বিপিন সংঘী ও বিচারপতি জস্মিত সিংয়ের একটি বেঞ্চ আরও জানায়, করোনা মোকাবিলায় দিল্লি সরকার এবং পৌর সংস্থাগগুলি যে পদক্ষেপ করেছে তা যথেষ্ট নয়।
আদালত এদিন দিল্লি সরকার, তিনটি পৌর কর্পোরেশন, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এবং নয়াদিল্লি পৌর কাউন্সিলকে দ্রুত মশার সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী সময়ে এই সঙ্কট মোকাবিলায় তাদের কী পরিকল্পনা তা জানতে চেয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ মে হবে।