মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি, খোশমেজাজে মহা-আগাড়ি জোট

বিধান পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে তাঁদের গড় এবং আরএসএস-এর ঘর নাগপুরে। এই আসনটি বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি নিজে নাগপুরের ছেলে। সেখানেও বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে।

মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি, খোশমেজাজে মহা-আগাড়ি জোট
Follow Us:
| Updated on: Dec 04, 2020 | 4:27 PM

মুম্বই: মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ (Maharashtra Legislative Council) নির্বাচনে বিরাট ধাক্কা খেল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। ৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র একটিতে জিততে পেরেছে। উল্টোদিকে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির মহা-বিকাশ আগাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোট চারটি আসনে জয়লাভ করেছে। বাকি একটি আসন গিয়েছে নির্দল প্রার্থীর পকেটে।

ফলাফল দেখে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) জানিয়ে দিয়েছেন, এই ফলাফল তাঁদের কাঙ্খিত ছিল না। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল একেবারেই আমাদের আশানুরূপ হয়নি। আমরা আরো অনেক বেশি আসনে জয়লাভ করবো ভেবেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত মাত্র একটি আসন পেয়েছি। হয়তো আমরা মহা-বিকাশ আগাড়ির ক্ষমতা বুঝতে ভুল করে ফেলেছিলাম।“

বিধান পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে তাঁদের গড় এবং আরএসএস-এর ঘর নাগপুরে। এই আসনটি বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি নিজে নাগপুরের ছেলে। সেখানেও বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে।

বিধান পরিষদের আসনগুলিতে জয়ের পর শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের প্রধান রূপকার শরাদ পাওয়ার পিটিআইকে জানিয়েছেন, “মহা-বিকাশ আগাড়ি গত এক বছর যে কাজ করেছে, রাজ্যের মানুষ যে তাতে সন্তুষ্ট হয়েছেন ভোটের ফলাফল দেখেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।“ এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে সকালে টুইটারে লেখেন, “সুপ্রভাত, যাঁরা মহা-বিকাশ আগাড়ি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন তাঁদের অভিনন্দন জানাই। দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম; এবং উপযুক্ত নেতৃত্ব ছাড়া এই জয় কখনোই সম্ভব হতো না।

আরও পড়ুন: লাভ হল না ক্ষতি! তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে কোন নেতা আজ কোথায় দাঁড়িয়ে?

এই নির্বাচন শিবসেনা নেতৃাত্বাধিন জোটের জন্য প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বললে ভুল হবে না। কেননা, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রে এটাই ছিল প্রথম বড় নির্বাচন। গত বছর শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট বেঁধে যখন সরকার গড়েছিল, তখন তাঁদের মতাদর্শগত ভিন্নতাকে কটাক্ষ করে একাধিক বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যায়, এই সরকার এক বছরও টিকবে না।

বলাই বাহুল্য, উদ্ধব ঠাকরে সরকারের মেয়াদ এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সরকার গঠন হওয়ার আগে তিন দলের মধ্যে একাধিক সমস্যা থাকলেও গত একবছরে বড় ধরনের কোনও অঘটন তাঁদের মধ্যে ঘটেনি। বিধান পরিষদের বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়া দেশের বাকি বিরোধী দলগুলোর মধ্যেও সামান্য অক্সিজেন সঞ্চার করেছে।

আরও পড়ুন: আগের চাকরি না দিয়েই নতুন নিয়োগ! আলিপুর চিড়িয়াখানার গেটে পড়ল তালা, ঘেরাও ডিরেক্টর