India-Pakistan Clash: ‘যে দেশ শান্তি চায়, সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় না’, রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের
India-Pakistan Clash: সম্প্রতিই পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনেও ভারতের তরফে বলা হয়, "এটা হাস্যকর যে দেশে সংখ্য়ালঘুদের অধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারাই বিশ্বমঞ্চে সংখ্য়ালঘুদের নিয়ে কথা বলছে।"
নয়া দিল্লি: ফের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর কথা তুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “যুদ্ধ কোনও অপশন নয়। পাকিস্তানের এখন স্থিতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজন। এরজন্য ভারত সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তি বজায় রাখতে চায়”। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই ভারতের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “যে দেশ শান্তি চায়, তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেবে না।”
শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরের উপরে ভারতের বেআইনি ও একতরফা জবরদখলের কারণেই দুই দেশের মধ্যে শান্তি নষ্ট হয়েছে।” পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এখন স্থিতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজন। আমরা সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করি। ভারতও তার অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজন। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।”
পাকিস্তানের এই মন্তব্যের পরই শনিবার ভারতের তরফে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে ভুয়ো বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আন্ত-সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করা হয়। ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই মঞ্চকে বেছে নিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য। নিজের দেশের অপকর্মকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং গোটা বিশ্ব যাকে অনৈতিক বলে অ্যাখ্য়া দিয়েছে, সেই কার্যকলাপকে নৈতিক বলে প্রমাণের চেষ্টায় পাকিস্তান এই কাজ করছে।”
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিমের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের তরফে বলা হয়, “যে দেশ শান্তি চায়, তারা কখনও ১৯৯৩ সালের মুম্বই বম্ব ব্লাস্টের প্রধান চক্রীকে আশ্রয় দেবে না। একটি রাষ্ট্র, যারা দাবি করে যে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চায়, তারা কখনও সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেবে না। মুম্বইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার চক্রীদেরও আশ্রয় দেবে না।”
A polity that claims it seeks peace with its neighbours would never sponsor cross-border terrorism, nor shelter planners of horrific Mumbai terrorist attack: Mijito Vinito, First Secy, India Mission to UN exercises India’s right of reply at #UNGA pic.twitter.com/Zu4cG1aKKT
— ANI (@ANI) September 24, 2022
সম্প্রতিই পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনেও ভারতের তরফে বলা হয়, “এটা হাস্যকর যে দেশে সংখ্য়ালঘুদের অধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারাই বিশ্বমঞ্চে সংখ্য়ালঘুদের নিয়ে কথা বলছে।”
It’s regrettable that Pak PM chose platform of this assembly to make false accusations against India. He’s done so to obfuscate misdeeds in his own country&justify actions against India: Mijito Vinito, First Secy, India Mission to UN exercises India’s right of reply at #UNGA pic.twitter.com/ivfrI8kfwi
— ANI (@ANI) September 24, 2022
ভারতের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নতির আকাক্ষা একদম সত্যি। সকলেই এই চিন্তাভাবনাই করেন। তবে এই শান্তি তখনই ফেরা সম্ভ যখন সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা থামবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরকার সমস্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করবে, তাদের নিজেদের দেশের মানুষ, সংখ্য়ালঘুদের নির্বিচারে হত্যা হবে না।”
শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসলামাবাদ ভারত সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন কাশ্মীর নিয়ে বিরোধের সমাধান হবে। আমার মনে হয়, ভারতের এটা বোঝার সময় এসে গিয়েছে যে দুই দেশই শক্তিধর। কিন্তু যুদ্ধ কোনও অপশন নয়। একমাত্র শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব, যাতে আগামিদিনে বিশ্বে শান্তি ফেরে।”