India-China: ‘পরিস্থিতি স্থিতিশীল তবে অনিশ্চিত’, লাদাখে চিন সেনার গতিবিধি নিয়ে বললেন সেনাপ্রধান

East Ladakh: সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ পান্ডের মতে, পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি 'স্থিতিশীল কিন্তু অনিশ্চিত'।

India-China: 'পরিস্থিতি স্থিতিশীল তবে অনিশ্চিত', লাদাখে চিন সেনার গতিবিধি নিয়ে বললেন সেনাপ্রধান
চিনার কথায় নয়, কাজের দিকে নজর রাখার উপর জোর দিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2022 | 5:30 PM

নয়া দিল্লি: সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ পান্ডের মতে, পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ‘স্থিতিশীল কিন্তু অনিশ্চিত’। জেনারেল পান্ডে জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় চিনা সৈন্যদের কোনওরকম শক্তি কমেনি। তবে, শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মির কিছু সদস্য সেখান থেকে ফিরে যাচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত-চিন সামরিক আলোচনার পরবর্তী লক্ষ্য হল, ডেমচোক এবং ডেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহারের সমস্যার সমাধান করা। জেনারেল পান্ডে বলেন, “যদি আমাকে এককথায় বলতে হয়, আমি বলব পরিস্থিতি স্থিতিশীল কিন্তু অনিশ্চিত।”

সেনাপ্রধান আরও জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় ‘নিরবিচ্ছিন্ন’ভাবে হেলিপ্যাড, এয়ারফিল্ড এবং রাস্তা নির্মাণ করে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে, জি৬৯৫ মহাসড়ক। এই রাস্তাটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সমান্তরাল। এর ফলে, চিনা বাহিনীর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকা পর্যন্ত এগিয়ে আসার পাশাপাশি, এক সেক্টর থেকে অন্য সেক্টরে পাড়ি দেওয়াও সহজ হবে। তবে, ভারতীয় সেনাও প্রস্তুত রয়েছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য, ওই এলাকায় পর্যাপ্ত সক্রিয় এবং রিজার্ভ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

সেনাপ্রধান আরও জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। মোট সাতটি সংঘর্ষের এলাকানিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি এলাকাতেই সমাধান পাওয়া গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে গোগরা হটস্প্রিং এলাকা থেকেও সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি আছে দুই এলাকা – ডোমচোক এবং ডেপসাং। এই দুই এলাকা নিয়েও সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশাবাদী জেনারেল পান্ডে।

সম্প্রতি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিএলএ সদস্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সম্পর্কে সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনীকে চিনের কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখতে হবে। তিনি বলেন, “সবাই জানে চিনারা যা বলে, করে সম্পূর্ণ আলাদা কাজ। এটা তাদের প্রতারণার অংশ, এটা তাদের স্বভাব, তাদের চরিত্র। আমাদের তাদের মুখের বা লেখা কথার থেকে, তাদের কাজের দিকে বেশি নজর রাখতে হবে। তাহলেই সম্ভবত আমরা কোনও ভুল করব না।”