Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উদ্ধবের রাজ্য থেকে এলেই এক সপ্তাহ থাকতে হবে কোয়ারান্টিনে, নয়া নির্দেশিকা শিবরাজ্যে

প্রতিটি জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিং(Thermal Screening), দোকান-পাটে সামাজিক দূরত্ব(Social Distance) ও বাইরে সবসময় মাস্ক (Mask) পরা বাধ্যতামূলক করেছে মধ্যপ্রদেশ(Madhya Pradesh)।

উদ্ধবের রাজ্য থেকে এলেই এক সপ্তাহ থাকতে হবে কোয়ারান্টিনে, নয়া নির্দেশিকা শিবরাজ্যে
বাধ্যতামূলক করা হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিংও। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2021 | 2:37 PM

ভোপাল: প্রতিনিয়তই আরও খারাপ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি(COVID-19 Situation)। একাধিক জেলায় লকডাউন (Lockdown) জারি করার পরও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা নিল মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার। রবিবার বিকেলেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “যাঁরা মহারাষ্ট্র(Maharashtra) থেকে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে এক সপ্তাহের জন্য কোয়ারান্টিনে (Quarantine) থাকতে হবে।”

একদিকে মহারাষ্ট্রে যেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ, সেখানেই প্রতিবেশী রাজ্য মধ্য প্রদেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাত্র ৪৭৪০। কিন্তু পাশের রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবস্থা দেখে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে মধ্য প্রদেশ। রাজ্যের ছিন্দওয়াড়া, বালাঘাট, বেতুল, সেওনী, খান্ডয়া, বারওয়ানি, খারগোও ও বুরহানপুরের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের সীমান্ত থাকায় রবিবারই রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ রাজোরা নয়া নির্দেশিকা জারি করে বলেন, “মহারাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের চিহ্নিতকরণ করতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে এক সপ্তাহের জন্য কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।”

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির হিটলিস্টের শিকার সচিন’ অম্বানী ভবনকাণ্ডে তোপ শিবসেনার

একইসঙ্গে ভোপাল, ইন্দোর ও মহারাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জনগমাগমের সংখ্যা ৫০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই সমস্ত অঞ্চলেই থার্মাল স্ক্রিনিংও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দোকানেও সামাজিক দূরত্ববিধি মানার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর জন্য দোকানের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল দাগ ও দড়ি টাঙানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ভোপাল, ইন্দোর, জবলপুর, রাতলাম, গোয়ালিওর, সেওনি, বেতুল, খাণ্ডয়া, খারগাও, বারওয়ানি, বুরহানপুর ও উজ্জয়নের মতো একাধিক জেলা যেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, সেখানে অবশ্যই এই নিয়মবিধিগুলি মানতে হবে।”

বর্তমানে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলাভিত্তিক বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটিগুলিকে বৈঠক করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৭৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে একদিনেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২০ জন।

আরও পড়ুন: আজ ও কাল ব্যাঙ্ক ধর্মঘট, সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে পরবর্তী দু’দিনও