N Biren Singh: ‘আমিও বুঝছি না কেন সংঘর্ষ হচ্ছে?’, মণিপুরকে অবিভক্ত রাখার শপথ মুখ্যমন্ত্রীর

Manipur Violence:ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, বেশ কিছু অপমানজনক মন্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের ছবি পোড়ানোর দৃশ্য, বিজেপি অফিসে হামলার ঘটনার পরই তিনি ইস্তফা দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।

N Biren Singh: 'আমিও বুঝছি না কেন সংঘর্ষ হচ্ছে?', মণিপুরকে অবিভক্ত রাখার শপথ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2023 | 7:33 AM

ইম্ফল: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। দুই মাস পার করে গেলেও, মেলেনি কোনও সমাধানসূত্র। এই পরিস্থিতিতেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh)। লিখে ফেলেছিলেন ইস্তফাপত্র, জমাও দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপালের কাছে। শেষ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন এন বীরেন সিং। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না।”

মেতেই জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণ দেওয়াকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিগত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করেই অশান্তি চরমে ওঠে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও অবধি ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, “মণিপুর যাতে বিভক্ত না হয় এবং ভিন্ন প্রশাসন তৈরি না হয়, তার জন্য আমি চেষ্টা করব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বিজেপির তরফ থেকেও বলছি যে ভিন্ন প্রশাসন তৈরি করে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না। রাজ্যের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্যাগ করতে রাজি।”

বিগত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অশান্তির কারণ জানতে চাইলে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও বিভ্রান্ত যে কেন এই সংঘর্ষ হচ্ছে। মণিপুর হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে মেতেইদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আমি পাহাড়ি এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছিলেন যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য যেন কিছু সময় দেওয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমিও এই বিষয়ে একমত ছিলাম। আমারও মনে হয়েছিল, এই নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। সেই কারণে আমি বিধায়কদের বলেওছিলাম যে এখন প্রস্তাবনা জমা দেব না। আমাদের সরকার এই ইস্যুতে কোনও প্রস্তাব দেয়নি। কিন্তু তার মাঝেই এইসব হয়ে গেল।”

ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, বেশ কিছু অপমানজনক মন্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের ছবি পোড়ানোর দৃশ্য, বিজেপি অফিসে হামলার ঘটনার পরই তিনি ইস্তফা দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। এই বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “বিগত ৫-৬ বছরে আমরা এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মানুষদের জন্য যা করেছি, তারপরও কেন সাধারণ মানুষ হঠাৎ আমাদের উপরে আস্থা হারাল? কয়েকদিন আগে কয়েকজন বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে মৃত একজনের দেহ ইম্ফলের মার্কেটে নিয়ে আসেন। ৫-১০ জন আমার সম্পর্কে অত্যন্ত খারাপ কথা বলেন। আমার খুব খারাপ লেগেছিল, সেই কারণেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরতেই যে বিপুল জনসমর্থন দেখলাম, তাতে ভাল লেগেছে।”