AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uttarakhand flood: মৃত্যুর আগেও জড়িয়ে রেখেছিলেন বুকে, ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার মা ও দুই যমজ সন্তানের নিথর দেহ

Chamoli: প্রসঙ্গত, মাত্র এক সপ্তাহ আগে দেরাদুনের সহস্রধারায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বিপর্যয়ে কমপক্ষে ১৩ জন প্রাণ হারান। ভেসে যায় রাস্তা, ভেঙে পড়ে দুটি বড় সেতু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরও। জানা যায়, মন্দিরের ভিতরে নদী থেকে আসা বালির স্রোত ঢুকে পড়ে শিবলিঙ্গ পর্যন্ত ঢেকে যায়। মন্দিরের দেওয়ালে বড় ফাটল ধরে।

Uttarakhand flood: মৃত্যুর আগেও জড়িয়ে রেখেছিলেন বুকে, ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার মা ও দুই যমজ সন্তানের নিথর দেহ
চামোলিতে মৃত্যুImage Credit: x handle
| Updated on: Sep 21, 2025 | 8:00 AM
Share

প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাকে বলে আবারও দেখেছে উত্তরাখণ্ড। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি থেকে ভূমি ধস। আর তার জেরে নিশ্চিহ্ন উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় একাধিক গ্রাম। মৃত্যু বহু মানুষের। এবার সেই চামোলির এমন ছবি সামনে এসেছে যা জানলে বুকের কলজে কেঁপে উঠবে সকলের। চামোলিতে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে এল এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। উদ্ধার হল আটত্রিশ বছরের মহিলা। আর তাঁর দুই যমজ সন্তান। দশ বছরের বিশাল ও বিকাশকে বুকে জড়িয়ে ধরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ওই মহিলা। শেষ মুহূর্তে সন্তানদের রক্ষা করতে গিয়েও রক্ষা করতে পারলেন না তিনি।

এর আগ অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিলেন ওই মহিলার স্বামী কুंয়ার সিং। বিপর্যয়ের ১৬ ঘণ্টা পর তাঁকে টেনে বের করেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে বাঁচানো গেল না কুয়ারের স্ত্রী ও তাঁর দুই সন্তানকে।

বুধবারের প্রবল বৃষ্টির জেরে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড় ধস নেমে আসে নন্দনগর এলাকায়। এতে অন্তত আটজন নিখোঁজ হন। জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। একাধিক বাড়িঘর, দোকান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বন্ধ রুজি-রোজগার।

দ্বিতীয় দিনও চলছিল উদ্ধার কাজ। সেই অভিযানের সুবিধার জন্য দেরাদুন-মসুরি হাইওয়ের উপর জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী ‘বেইলি ব্রিজ’ তৈরি করা হয়। আর তার জেরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ছন্দে ফেরে।

প্রসঙ্গত, মাত্র এক সপ্তাহ আগে দেরাদুনের সহস্রধারায় ভয়াবহ মেঘভাঙা বিপর্যয়ে কমপক্ষে ১৩ জন প্রাণ হারান। ভেসে যায় রাস্তা, ভেঙে পড়ে দুটি বড় সেতু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরও। জানা যায়, মন্দিরের ভিতরে নদী থেকে আসা বালির স্রোত ঢুকে পড়ে শিবলিঙ্গ পর্যন্ত ঢেকে যায়। মন্দিরের দেওয়ালে বড় ফাটল ধরে।

বৃহস্পতিবার বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানান, “চামোলিতে অন্তত ২০০ মানুষ এই দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, ২০ জন আহত, এবং ১৪ জন এখনও নিখোঁজ। সব উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। গুরুতর আহতদের ঋষিকেশ এইমস-এ পাঠানো হচ্ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলির দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে সমস্ত প্রশাসনিক দফতর ও উদ্ধারকারী সংস্থাগুলিকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”