Robbery: ৮ কোটি লুটে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন ভগবানকে, ধরিয়ে দিল ১০ টাকার পানীয়!
Punjab Police: দেশ ছেড়ে পালাতে না পেরেই তীর্থ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই যুগল। উত্তরাখণ্ডের হেমকুণ্ড সাহিব, কেদারনাথ ও হরিদ্বারে ঘুরতে যান। তাদের প্রথম গন্তব্যই ছিল হেমকুণ্ড সাহিব।
লুধিয়ানা: সাদামাটা চেহারা, দেখে বোঝার নেই এর মস্তিষ্ক থেকেই বের হয় ডাকাতি-লুঠপাটের ভয়ঙ্কর সমস্ত পরিকল্পনা। সম্প্রতিই সফল হয়েছিল আরও একটি বড় অভিযান। লুধিয়ানার (Ludhiana) একটি নগদ অর্থ ম্য়ানেজমেন্ট ফান্ডে হানা দিয়ে লুঠ করা হয়েছিল ৮ কোটি টাকারও বেশি। গোটা পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মনদীপ কৌর। সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্বামী যশবিন্দর সিং। এত বড় ডাকাতির (Robbery) সাফল্যের পরই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে ওই যুগল গিয়েছিলেন হেমকুণ্ড সাহিবে। কিন্তু ছোট্ট একটা ভুলেই ভেস্তে গেল সবকিছু। ১০ টাকার পানীয় ডাকাতদের ‘মক্ষী রানি’কে ধরিয়ে দিল পুলিশের হাতে।
পঞ্জাব পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মনদীপ কৌর ও তাঁর স্বামী যশবিন্দর সিং ডাকাতির মূল পাণ্ডা ছিলেন। তাদের পরিকল্পনা মাফিকই গত ১০ জুন লুধিয়ানার একটি নগদ ম্যানেজমেন্ট ফার্মে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। সংস্থার কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ভয় দেখিয়ে নগদ ৮ কোটি টাকা লুঠ করে পালায়। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মনদীপ ও তাঁর স্বামী পরিকল্পনা করেছিলেন নেপালে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হওয়ার আগেই পুলিশের কানে খবর পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয় লুক আউট নোটিস।
দেশ ছেড়ে পালাতে না পেরেই তীর্থ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই যুগল। উত্তরাখণ্ডের হেমকুণ্ড সাহিব, কেদারনাথ ও হরিদ্বারে ঘুরতে যান। তাদের প্রথম গন্তব্যই ছিল হেমকুণ্ড সাহিব। এদিকে, গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে যে মনদীপ ও যশবিন্দর হেমকুণ্ডে রয়েছেন। তাঁদের গ্রেফতার করতেই ফাঁদ পাতেন। হেমকুণ্ডের পথে পুলিশের তরফে খোলা হয় একটি কিয়স্ক, যেখানে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফলের জ্য়ুস বিতরণ করা হচ্ছিল। তেষ্টা মেটাতে ওই স্টলে যায় যুগল। জ্যুস পান করার জন্য মুখ থেকে কাপড় সরাতেই পুলিশ নিশ্চিত হয় যে এরাই ডাকাত দলের সর্দার। তবে সেই সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি।
হেমকুণ্ডে প্রার্থনা শেষ করে বের হতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে হাজির হয়। কিছু দূর পালালেও পুলিশ শেষে তাঁদের গ্রেফতার করে। লুধিয়ানার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, মনদীপ ও তাঁর স্বামীর কাছ থেকে নগদ ২১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মোট লুঠ হওয়া ৮ কোটি টাকার মধ্য়ে থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অবধি ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তদন্ত করায় ১০০ ঘণ্টারও কম সময়ে ডাকাতির মূল পাণ্ডাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।