Religious Conversions: ধর্ষণের অভিযোগ এড়াতে হিন্দু মহিলাকে বিয়ে! উদ্বেগ প্রকাশ করে গাইডলাইন দিল হাইকোর্ট
High Court on Religious Conversions: ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে, তাঁরা বিয়েও করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত।
নয়া দিল্লি: আইনকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য জোর করে ধর্ম বদল! এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আদালত। এমনকী ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্যও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবার এই ইস্যুতে গাইডলাইন জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট। যাঁর ধর্ম বদল করা হচ্ছে, তাঁকে সব জানিয়ে, তাঁর অনুমতি নিয়ে তবে ধর্মান্তরণ করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অর্থাৎ কেউ ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলে, এ বিষয়টা স্বচ্ছ থাকতে হবে যে তিনি নিজের ইচ্ছেয় এই কাজ করছেন। একটি ধর্ষণের মামলায় এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এই গাইডলাইন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
কী সেই মামলা?
ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি এফআইআর থেকে অব্যাহতি চেয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে, তাঁরা বিয়েও করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত। দেখা যায়, ওই ব্যক্তি নিজে একজন মুসলিম, আর অভিযোগকারিণী মহিলা হিন্দু। দুজনের স্ত্রী ও স্বামী বর্তমান আছেন।
এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি মুসলিম হওয়ায় আইন অনুযায়ী তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু মহিলা হিন্দু। আইন অনুযায়ী প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে। ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
কী আছে আদালতের গাইডলাইনে?
১. ধর্মান্তকরণের আগে বয়স, বিয়ে সংক্রান্ত প্রমাণ দিতে হবে দু পক্ষকেই।
২. ধর্মান্তকরণের কী প্রভাব পড়তে পারে, সেগুলো জেনে নিজের ইচ্ছেয় ধর্মান্তরিত হয়েছেন, এ কথা জানাতে হবে হলফনামায়।
৩. ধর্মান্তকরণ ও বিয়ের শংসাপত্র এমন ভাষায় ইস্যু হওয়া প্রয়োজন, যে ভাষা দু পক্ষই বুঝতে পারে।
শুধুমাত্র ধর্মান্তকরণ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেনি আদালত, উদ্বেগের বিষয় হল, ধর্মান্তরিত ব্যক্তি যদি নিজের পুরনো ধর্মে আবার ফিরতে চায়, তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে, তা নিয়ে।