Uttarakhand Murder Case: কেন ভেঙে ফেলা হল রিসর্ট? অঙ্কিতার দেহ সৎকারে নারাজ পরিবার

Ankita Bhandari murder case: অঙ্কিতাকে খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।

Uttarakhand Murder Case: কেন ভেঙে ফেলা হল রিসর্ট? অঙ্কিতার দেহ সৎকারে নারাজ পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 1:35 PM

উত্তরাখণ্ড : অঙ্কিতা ভাণ্ডারী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাপ বাড়ছে ক্রমশ। ১৯ বছরের অঙ্কিতা উত্তরাখণ্ডের একটি রিসর্টে রিসেপনিস্টের কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ সামনে আসার পর সেই রিসর্ট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। ইতিমধ্যে সেই রিসর্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে অঙ্কিতার পরিবার জানিয়েছে, তারা এখনই শেষকৃত্য করবে না।

এই ঘটনায় যিনি মূল অভিযুক্ত, অর্থাৎ রিসর্টের মালিক, সেই পুলকিত আর্য বিজেপি নেতার ছেলে। ইতিমধ্যে পুলকিত ও আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অঙ্কিতার পরিবারের দাবি, উত্তরাখণ্ডের সরকার এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তাঁদের দাবি, অঙ্কিতার দেহ সৎকরা হবে না এখনই। পুনরায় ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন অঙ্কিতা। পরে শনিবার একটি খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অঙ্কিতার। তার আগে কোনও ভোঁতা অস্ত্রে আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রশাসনের তরফে তাঁর পরিবারকে অনুরোধ করা হচ্ছে যাতে সৎকার করা হয়।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না, কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এ দিকে অঙ্কিার খুনের ঘটনায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। তদন্ত কেন ধীরগতিতে এগোচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি অশোক কুমার জানিয়েছেন, যেহেতু রিসর্টটি সরাসরি রাজ্য পুলিশে অধীনস্থ নয়, তাই ভূমি সংস্কার দফতরের মাধ্যমে এফআইআর করা হচ্ছে। সে কারণেই তদন্তের গতি ধীর বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, অঙ্কিতা খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। পুলিশের হাতে যে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ এসেছে, তা থেকে স্পষ্ট, অঙ্কিতাকে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর হোয়াটসঅ্যাপের যে কথোপকথন সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অঙ্কিতা সে কথা জানিয়েছিলেন তাঁর বন্ধুকে। ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে রিসর্টের অতিথিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হচ্ছিল। তারপর আচমকাই উধাও হয়ে যান অঙ্কিতা। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।