Nagaland: নাগাল্যান্ড ইস্যুতে শাহর সঙ্গে দেখা করার সময় চাইছে তৃণমূল, প্রতিনিধি দলে সুখেন্দু-কল্যাণরা
TMC Delegation on Nagaland Civilians Death: নাগাল্যান্ড ইস্যুতে অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলতে চান তৃণমূল সাংসদরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
নয়া দিল্লি : নাগাল্যান্ডে সেনার অভিযানে গ্রামবাসীদের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। নাগাল্যান্ড বিজেপির তরফেও এই ঘটনাকে গণহত্যার সামিল বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দাবি উঠছে বিতর্কিত আফস্পা আইন প্রত্যাহারের। সরব হয়েছে তৃণমূল শিবিরও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়ার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। নাগাল্যান্ড ইস্যুতে অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলতে চান তৃণমূল সাংসদরা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনার পরই সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা। পরের দিনই নাগাল্যান্ড পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে কথা বলতেই নাগাল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠে না। নাগাল্যান্ডে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে সেই সূচি বাতিল করা হয়।
সূত্রের খবর, এনএসসিএন (কে-ওয়াইএন) জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করেই অভিযানের জন্য অসম থেকে প্যারা স্পেশাল ফোর্সকে আনা হয়েছিল। অভিযানের সময়, সন্দেহভাজনদের গাড়িতে ওঠার আগে তাদের উপর নজরদারি করার সময় ব্যারেলের মতো দেখতে একটি জিনিস চোখে পড়ে। সূত্রের খবর, এটি সম্ভবত শিকারের জন্য ব্যবহারের একটি রাইফেল যা সাধারণত এখানকার গ্রামবাসীরা ব্যবহার করে থাকেন।
নাগাল্যান্ডে গ্রামবাসীদের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। সাধারণ নাগরিকদের খুন করাই বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিযোগ এনেছে নাগাল্যান্ড পুলিশ। পুলিশকে না জানিয়ে কেন অভিযান চালানো হল, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই এফআইআরে।
এফআইআরে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় কোনও পুলিশ উপস্থিত ছিল না। কোনও পুলিশের উপস্থিতির জন্য কোনও থানায় আবেদনও জানায়নি আধা সামরিক বাহিনী। তাই এটা স্পষ্ট যে সাধারণ মানুষকে হত্যা করাই বা আক্রমণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
এদিকে সংসদে অমিত শাহ তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, “ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করছে সেনা। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। আজ সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও সেনা অভিযান চলাকালীন যেন এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা না ঘটে, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও জানিয়েছেন, যে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে, তারা এক মাসের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেবেন।