Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manipur Violence: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র, ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের

All Party Meeting: মণিপুরে অশান্তি নিয়ে এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে বসা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

Manipur Violence: মণিপুরে শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র, ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2023 | 7:21 AM

ইম্ফল: প্রায় দুই মাস হতে চলল, এখনও অশান্তির রেশ কমেনি মণিপুরে (Manipur)। রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করলেও, কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না পরিস্থিতি। এই অবস্থায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-র কাছে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। তাদের সেই প্রস্তাবকেই মান্য়তা দিল কেন্দ্র। তবে প্রধানমন্ত্রী নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে হতে চলেছে সর্বদলীয় বৈঠক। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে।

গত মে মাসের শুরুতে মণিপুরে সংরক্ষণ নিয়ে মেতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা মাস পার করেও জারি রয়েছে। মণিপুরে অশান্তি নিয়ে এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে বসা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মণিপুরের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবারই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরের নয়জন বিজেপি বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তাঁরা জানান যে মণিপুরের সাধারণ মানুষ মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপরে আস্থা হারিয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের সমালোচনা করে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, যে নয়জন বিধায়ক মিলে চিঠি লিখেছেন, তাঁরা সকলেই মেতেই জনগোষ্ঠীর।

মণিপুরে হিংসা-

মণিপুরের হাই কোর্টের তরফে এপ্রিল মাসে মেতেই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে  বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু এই সংরক্ষণের বিরোধিতা করে কুকি, জো সহ মণিপুরের একাধিক জনগোষ্ঠী। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলির মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। ৩ মে একটি মিছিল ঘিরে চরম অশান্তি তৈরি হয়, রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একাধিক থানা থেকে অস্ত্রও লুঠ করা হয়। সংঘর্ষে এখনও অবধি ১০০-রও বেশি সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের তরফে সেনা বাহিনী, অসম রাইফেলসের বাহিনী নামানো হয়। রাজ্যের একাধিক জায়গায় এখনও কার্ফু জারি রয়েছে, বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।