Dharmendra Pradhan: ‘পরিবারতন্ত্রের হতাশার বহিঃপ্রকাশ’, জয়রাম রমেশকে পাল্টা জবাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
Jairam Ramesh on New Parliament: মোদী সরকারের নতুন সংসদ ভবন গঠনের সিদ্ধান্তে সংসদের সাধারণ কর্মী থেকে সাংসদদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জয়রাম রমেশ। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা।

নয়া দিল্লি: নতুন সংসদ ভবন নিয়ে খুশি নন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। তাঁর অভিযোগ, নতুন সংসদ ভবন এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে লোকসভা ও রাজ্যসভার মধ্য়ে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সাংসদরা আগের মতো আর কথা বলতে পারছেন না একে-অপরের সঙ্গে। ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন সংসদের সাংসদ থেকে সাধারণ কর্মীরা। কংগ্রেস নেতার এই অভিযোগেরই পাল্টা জবাব দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “নতুন সংসদ ভবন নতুন ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন। মোদীজির উদ্যোগে মহিলা সংরক্ষণ বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর এই সংসদ ভবন মহিলা সাংসদদের ঠিকানা হয়ে উঠবে।”
এ দিন সকালেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে লেখেন, “নতুন সংসদ ভবনকে মোদী মাল্টিপ্লেক্স বা মোদী ম্যারিয়ট বলা উচিত”। সংসদে চারদিনের বিশেষ অধিবেশনের পর তিনি অনুভব করেছেন, সংসদে আলোচনার অভ্যাসকেই শেষ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন সংসদের বিশালাকার আয়তনের কারণে সংসদের এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষের মধ্য়ে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, পুরনো সংসদ ভবনে আগে সাংসদরা যেভাবে সেন্ট্রাল হল বা সংসদের লবিতে দেখা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতেন, আলোচনা করতেন, তা নতুন সংসদ ভবনে সম্ভব হচ্ছে না। নতুন সংসদ ভবনকে গোলকধাঁধা বলেও আখ্যা দেন কংগ্রেস নেতা।
Jairam Ramesh ji’s agony is an expression of the despair of a dynasty and its nobles over the loss of what they considered to be a fief. It was only the other day that his leader in the Lok Sabha had said former Speaker Meira Kumar had emphasised that the old building of… https://t.co/CIntLztESE
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) September 23, 2023
মোদী সরকারের নতুন সংসদ ভবন গঠনের সিদ্ধান্তে সংসদের সাধারণ কর্মী থেকে সাংসদদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জয়রাম রমেশ। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা-পরামর্শ না করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা। একইসঙ্গে এও দাবি করেন যে ২০২৪ সালে পালাবদলের পর হয়তো নতুন সংসদ ভবনের সদব্য়বহার হবে।
জয়রাম রমেশের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান টুইটে বলেন, “জয়রাম রমেশজির এই অন্তর্বেদনা আসলে পরিবারতন্ত্রের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। ওঁরা যা সম্ভ্রান্ত বলে মনে করত, তা হারিয়ে যাওয়ার দুঃখ এটা। আগের দিনই লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার বলছিলেন পুরনো সংসদ ভবনে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ছিল। এখন জয়রাম রমেশজি তাঁর বসদের নির্দেশে অন্য সুর ধরেছেন। এই নতুন সংসদ ভবন আধুনিক ভারতের আকাঙ্খার প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী মোদীজির নেতৃত্বে মহিলা সংরক্ষণ বিল যখন আইনে পরিণত হবে, তখন এই সংসদ ভবন মহিলা সাংসদদের ঠিকানা হবে।”