সৎকারের টাকা না থাকলে পাঁচ হাজার দেবে সরকার, নদীর পাড়ে মৃতদেহের ভিড় কমাতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন

গত কয়েকদিন ধরে বীভৎস ছবি সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের গঙ্গ তীরবর্তী এলাকা থেকে। পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ, ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর।

সৎকারের টাকা না থাকলে পাঁচ হাজার দেবে সরকার, নদীর পাড়ে মৃতদেহের ভিড় কমাতে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
এভাবেই পড়ে আছে সার সার দেহ। প্রয়াগরাজের ছবি (পিটিআই)
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 7:43 AM

লখনউ: নদীর পাড়ে পড়ে থাকা মৃতদেহের স্তূপ, ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর। গত কয়েকদিনে অস্বস্তি বাড়িয়ে এমনই সব ছবি। মাইলের পর মাইল জুড়ে পড়ে আছে হাজার হাজার দেহ। প্রত্যেকদিনই ঘাটে ঘাটে ভেসে উঠছে পচা-গলা দেহ। সৎকারের উপায় না থাকায় এভাবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অনুমান। সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে এবার তৎপর হল যোগী প্রশাসন। সৎকারের জন্য প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্য করার কথা জানিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। পাশাপাশি, নদীর তীর জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি।

উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় নৌকায় করে নদীতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। অপর একটি টিম এলাকায় ঘুরে ঘুরে ঘোষণা করছে যাতে কেউ দেহ এভাবে নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে না যান। বালিয়ার পুলিশ সরপার বিপিন তাডা জানান, যাতে কেউ নদীতে দেহ ফেলতে পারে, তার জন্য টহলদারি চলছে। এছাড়া গ্রামে গ্রামে গিয়েও সাধারণ মানুষকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের ন’টি টিম এই কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে প্রয়াগরাজে ফের নতুন করে দেহ ভেসে এসেছে।

বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে সৎকারের টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যাদের সৎকার করার ক্ষমতা নেই, তাদের সরকার ৫ হাজার টাকা করে দেবে। কিন্তু কোনোভাবেই যেন দেহ নদীতে না ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রও। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

আরও পড়ুন: টাউকটের দাপটে আসছে পরপর মৃত্যুর খবর, বিপর্যস্ত বহু এলাকা

গঙ্গার বুকে কোথা থেকে এল এই দেহ তা অনুমান করা গেলেও কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। স্থানীয়দের বেশির ভাগের মতে, করোনা আক্রান্তদের সৎকারের জায়গা নেই বলে এ ভাবে ভাসিয়ে দিচ্ছেন আত্মীয়রা। কিন্তু এত বেশি মৃতদেহ একসঙ্গে কেন ভেসে আসছে, তার সদুত্তর নেই প্রশাসনের কাছেও। স্থানীয়দের অনেকের দাবি, এই সব আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যার কোনও হিসেব নেই প্রশাসনের কাছে। এরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা, সেটাও হয়ত জানেন না কেউ।