কোভিশিল্ডের প্রায় দ্বিগুণ দাম কোভ্যাক্সিনের, কেন এই বৈষম্য?
চিকিৎসক রাকেশ মিশ্রর দাবি কোভিশিল্ডের থেকে কোভ্য়াক্সিনের দাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
নয়া দিল্লি: বেসরকারি হাসপাতালে কোভিশিল্ডের (Covishield) একটি ডোজ়ের দাম ৭৮০ টাকার বেশি নয়। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি এর দাম ১১৪৫ টাকার বেশি নয়। কিন্তু দেশের প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনের দাম ১৪১০ টাকা। যা কোভিশিল্ডের প্রায় দ্বিগুণ। দেশের প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্য়াকসিনের কেন এত বেশি দাম, স্বাভাভিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে।
কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ়ের দাম প্রায় বিদেশি ভ্য়াকসিন ফাইজ়ারের সমান। এ বিষয়ে সেন্ট্রাল ফর মলিকুলার বায়োলজির বিশেষজ্ঞ রাকেশ মিশ্র জানান, কোভ্যাক্সিনের দাম বেশি কারণ, প্রযুক্তিগত ভাবে এটি কোভিশিল্ড বা স্পুটনিক ভি-এর থেকে আলাদা। কোভ্যাক্সিনে একটি ইন্যাক্টিভ ভাইরাস সম্পূর্ণ থাকে। যার জন্য সেরাম আমদানি করতে হয়। বিএসএল ল্যাবে অত্যন্ত সতর্কভাবে ভাইরাসকে পরিণত করে তুলতে হয়। তাই খরচ বেশি।
চিকিৎসক রাকেশ মিশ্রর দাবি কোভিশিল্ডের থেকে কোভ্য়াক্সিনের দাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, কেন কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক-ভি দামের মধ্যে এতটা ফারাক হবে। কারণ এম আরএনএ ভ্যাকসিন অত্যন্ত সহজলভ্য। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে ভ্যাকসিনের। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্র সেরাম ও ভারত বায়োটেককে দ্রুত দাম কমানোর অনুরোধ করবে।
প্রসঙ্গত, কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতা নিয়ে দু’টি গবেষণার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যার মধ্যে আইসিএমআরের গবেষণা দাবি করেছে, ভারতে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা স্ট্রেনকে (বি.১.৬১৭.২) রুখতে পারে কোভ্যাক্সিন। কিন্তু এইমসের দাবি কোভ্যাক্সিনের ২ ডোজ় নেওয়া থাকলেও আঘাত হানছে ডেল্টা স্ট্রেন।
আরও পড়ুন: করোনা আবহেও হবে পুরীর রথযাত্রা, কিন্তু…