Murder Case: বারবার যৌনতায় বাধ্য করত জামাইবাবু, বিয়ের পরও থামেনি, পার্টির রাতটাকেই খুনের জন্য বেছে নিলেন স্বামী
Murder Case: পুরুলিয়ার বাসিন্দা সমীর কৈরি ২০১২ সালে রাঁচির বুন্দুতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সমীর জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জামাইবাবুর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে অর্জুন যখনই তাঁর শ্বশুর বাড়িতে আসতেন, তখনই তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌনতায় বাধ্য করতেন। বহুবার প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি।
রাঁচি: গত ১২ বছরে নিজের শ্যালককে পরপর দু’বার হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বারবারই বেঁচে যান শ্যালক। শেষ পর্যন্ত সেই শ্যালককে খুন করলেন ওই ব্যক্তি। ১২ বছর আগেই ওই ব্যক্তি ঠিক করে ফেলেছিলেন শ্যালককে হত্যা করবেন তিনি। তারপর থেকেই চলছিল পরিকল্পনা। গত ১১ জুন একেবারে শ্যালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। ঘটনায় অবৈধ সম্পর্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির ওপি থানা এলাকার দুলমি গ্রামে। অভিযুক্তের স্ত্রী ও তাঁর বোনের স্বামী অর্থাৎ জামাইবাবুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বহু বছর ধরে সঙ্গে জোর করে তাঁর স্ত্রীকে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হত বলেও অভিযোগ। এ ব্যাপারে অভিযুক্তের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে জানান অনেক দিন আগেই। তারপর থেকেই ওই ব্যক্তির খুনের চেষ্টা করছিলেন।
মৃতের নাম অর্জুন মাহাতো। অভিযুক্তের নাম সমীর কৈরি। সমীর পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্পর্কে জামাইবাবু অর্জুনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তিনি অর্জুন মাহাতোকে দু’বার চেষ্টা করেও খুন করতে পারেননি।
একটি পিস্তল, একটি গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার এই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুরুলিয়ার বাসিন্দা সমীর কৈরি ২০১২ সালে রাঁচির বুন্দুতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সমীর জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জামাইবাবুর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রী তাঁকে জানিয়েছিলেন, বিয়ের আগে অর্জুন যখনই তাঁর শ্বশুর বাড়িতে আসতেন, তখনই তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌনতায় বাধ্য করতেন। বহুবার প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি।
সমীরের স্ত্রী জানান, লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। এর মধ্যেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরও অর্জুন জোর করতে থাকেন বারবার। এরপর সমীর অর্জুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ১১ মে শ্যালকের বাড়িতে একটি পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে সমীরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু বাইকে করে পৌঁছে যান সমীর। পার্টি শেষ হওয়ার পর অর্জুন তাঁর ঘরে ঘুমোতে গেলে গোপনে সেখানে পৌঁছে যান সমীর। এরপর সোজা গুলি চালান তিনি। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন অর্জুনের ঘরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা অর্জুনকে মৃত ঘোষণা করেন।