WhatsApp Controversy : পাকিস্তান নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে গ্রফতার বেঙ্গালুরুর তরুণী, কী এমন লিখেছিলেন তিনি?

WhatsApp Controversy : হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্টেটাস দেওয়ার জন্য গ্রেফতার হলেন কর্নাটকের এক তরুণী। পাকিস্তানকে নিয়ে সেই হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেওয়া হয়েছিল।

WhatsApp Controversy : পাকিস্তান নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে গ্রফতার বেঙ্গালুরুর তরুণী, কী এমন লিখেছিলেন তিনি?
গ্রাফিক্স : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2022 | 6:27 PM

বেঙ্গালুরু : কর্নাটকের বাগালকোট জেলা থেকে গ্রেফতার হলেন এক ২৫ বছরের তরণী। হোয়াটসঅ্যাপে একটি স্টেটাস দেওয়ার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানকে নিয়ে ওই তরুণী একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দিয়েছিলেন। তা দেখেই মুধল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন এক সমাজকর্মী। তারপরই ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই তরুণী হলেন কুঠমা শেখ। তিনি মুধলের বাসিন্দা। পাশের মাদ্রাসার একজন ছাত্রী তিনি।

হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে কী লেখা ছিল?

কর্তৃপক্ষের মতে, ২৩ শে মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে উর্দুতে লিখেছিলেন, “আল্লাহ হর মুলক মে ইত্তিহাদ…আমান…সুকুন…আতা ফরমা মওলা।” এর অনুবাদ হল,”ঈশ্বর প্রতিটি জাতিকে শান্তি,ঐক্য এবং সম্প্রীতির আশীর্বাদ করুক।”

গ্রেফতার হন তরুণী

তরুণীর এই স্টেটাসের পর একজন সমাজকর্মী অরুণ কুমার ভজনত্রি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুধল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হয়। কুঠমা শেখকে ২৪ মার্চ গ্রেফতার করা হয়। এবং তাঁকে হেফাজতেও নেওয়া হয়। তবে পরের দিনই তাঁকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ রিপোর্টে কী ছিল?

মুধল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অরুণ কুমার ভজনত্রি। তিনি তরুণীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ লেখানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তরুণীর সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩(এ) (ধর্ম, জাতি বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গোষ্ঠীর মধ্য়ে ঘৃণা উস্কে দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ করছেন। এবং ৫০৫ (২) ধারা (বিভিন্ন গোষ্ঠার মধ্যে হিংসা প্রচার করে এমন বিবৃতি দেওয়া।) ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন।

পুলিশ কী বলছে?

পুলিশের মতে শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই কুঠমা শেখ নামের ওই তরুণীকে আটক করা হয়েছিল। একজন পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, “তাঁর স্টেটাসকে পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আমরা শীঘ্রই কোনও পদক্ষেপ না করলে এর ফলে দাঙ্গা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হতে পারত।”

আরও পড়ুন : Bharat Bandh : ‘বনধ সমর্থনে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার,’ ‘বেআইনি’, জানাল কেরল হাইকোর্ট