Video: ভূত না ভাইরাস, এ কী অবস্থা যুবতীর! হইচই কলকাতা বিমানবন্দরে
Woman dance video at Kolkata airport: কলকাতা বিমান বন্দরের এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। কেউ বলছেন ভূত, আবার কেউ বলছেন ভাইরাস। ঘটনাটা কী?
কলকাতা: ভূতে ধরল নাকি যুবতীকে? প্রশ্ন করছে নেটিজেনরা। কলকাতা বিমান বন্দরের এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। কেউ বলছেন ভূত, আবার কেউ বলছেন ভাইরাস। ঘটনাটা কী? বর্তমানে সস্তায় খ্যাতি পেতে বিভিন্ন সার্বজনিক জায়গায় নাচগান করাটা আর কোনও বিরল বিষয় নয়। ট্রেনে, বাসে, রেল স্টেশনে – যেখানে সেখানে অন্যের বিরক্তির উদ্রেক করে নাচতে দেখা যায় বিভিন্ন খ্যাতি-প্রত্যাষীদের। এবার সেটাই ঘটল কলকাতা বিমানবন্দরেও। বিমানবন্দরগুলি দেশের নিরাপদতম স্থানগুলির অন্যতম। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকে সেখানে। এই রকম এক জায়গাতেও কীভাবে এই রিলস বানানোর ভূত বা ভাইরাস পৌঁছে গেল, বিস্মিত সকলে।
সহেলি রুদ্র নামে এক যুবতী ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাদা শার্ট এবং নীল জিন্স পরেছিলেন তিনি। ভিডিয়োতে দেখা যায়, তাঁকে আচমকা দীপিকা পাড়ুকোন অভিনিত ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির ‘লাভলি’ গানের সঙ্গে নাচতে। কখনও কোমর দুলিয়েছেন, কখনও খোলা চুলে মাথা ঘুরিয়েছেন বনবন করে। অনেকটা দীপিকা পাগুকোনের ডান্স স্টেপই নকল করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর আশপাশে, বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের তাঁর দিকে বিস্মিতভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিদের সেই মনোযোগে এতটুকু বিচলিত হননি সহেলি। নাচ চালিয়ে যান।
View this post on Instagram
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, অপ্রত্যাশিতভাবে সার্বজনিক জায়গায় সাহসী নাচ, বর্তমানে একটা প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে নেটিজেনরা এই পারফরম্যান্সগুলির মজা উপভোগ করতেন। তবে, এখন এগুলি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্বজনিক স্থানে, এই ধরনের নাচ-গান করার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সহেলি রুদ্র ভিডিয়োটির ক্যাপশনে লিখেছেন, “গিরতে গিরতে বাঁচ গই (পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছি)।” শারীরিকভাবে তিনি না পড়ে গেলেও, তাঁর এই আচরণের মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের চোখে অনেকটাই নেমে গিয়েছেন। ভিডিয়োটির প্রেক্ষিতে যে সকল মন্তব্য এসেছে, তাতেই তা স্পষ্ট।
বিমানবন্দরে এই ধরনের নাচ-গান করার জন্য তাঁর সমালোচনা করেছেন তিনি। সমালোচকরা বলেছেন, কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সার্বজনিক স্থানে এই সব করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ে আইন আনার দাবিও উঠেছে। নেটিজেনরা বলছে, বিমানবন্দরের মতো এলাকায় অন্যান্য যাত্রীদের সম্মান বজায় রাখা উচিত। কেউ কেউ বলেছেন, সহেলির পাবলিক স্টান্ট দুর্দান্ত। কিন্তু, কোনও স্থানে মান-মর্যাদাও বজায় রাখা উচিত। রেল স্টেশন, বাসস্টপ, মেট্রোরেলের পর এবার এই রিলস বানানোর ভাইরাস পৌঁছে গেল বিমানবন্দরেও। দিন কয়েক আগে, একইরকম দৃশ্য ধরা পড়েছিল মুম্বই বিমানবন্দরেও।