মুণ্ড কাটা, হাইওয়ের ধারে পড়ে যুবতীর নগ্ন দেহ! পরিচয় জানতেই ঘোল খাচ্ছে পুলিশ
Crime: হাইওয়েতে সিসিটিভি না থাকায়, কে বা কারা যুবতীর দেহ ফেলে গিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতাল রয়েছে। সেই হাসপাতালের সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, ওই যুবতীর গড়নেই একজন হেঁটে যাচ্ছে।
লখনউ: গায়ে সুতো নেই। রাস্তার ধারে পড়ে মহিলার নগ্ন দেহ। নেই মুণ্ড-ও। হাইওয়ের পাশ থেকে এক যুবতীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরেই শোরগোল। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও, মহিলার দেহ পরিচয় জানা যায়নি। রহস্য সমাধান করতেই ঘোল খাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ উত্তর প্রদেশের কানপুরের গুজইনিতে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে এক যুবতীর মুণ্ড কাটা দেহ উদ্ধার হয়। তার পরনে কোনও পোশাক ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরিচয় যাতে জানা না যায়, তার জন্যই মুণ্ড কেটে অনত্র কোথাও ফেলে দেওয়া হয়েছে। ওই কাটা মুণ্ডের খোঁজ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হাইওয়েতে সিসিটিভি না থাকায়, কে বা কারা যুবতীর দেহ ফেলে গিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি হাসপাতাল রয়েছে। সেই হাসপাতালের সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, ওই যুবতীর গড়নেই একজন হেঁটে যাচ্ছে। পরনে ধূসর রঙের পোশাক। হাইওয়ের ধারে যে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার গায়ে কোনও পোশাক না থাকলেও, পাশের ঝোপ থেকে ছেঁড়া পোশাকের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। সেটিও ধূসর রঙের।
উদ্ধার হওয়া দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। যুবতীর দাঁত ও হাড়ের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের হয়নি।
এই বিষয়ে লোকসভার সাংসদ তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, “মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার হয়েই চলেছে। কানপুরে হাইওয়ের ধার থেকে এক মহিলার মুণ্ড কাটা, নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিরপেক্ষভাবে এই ঘটনার তদন্ত করা চাই এবং অভিযুক্তদের এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে অপরাধীরা ভয় পায় এবং ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে রাজ্য সরকারের তদন্ত করা উচিত।”