Vijayendra: পরিবারতন্ত্রের কাছে নতজানু বিজেপিও, সভাপতির দায়িত্ব নিলেন ইয়েদুরাপ্পা-পূত্র

Vijayendra takes charge as Karnataka BJP president: কর্নাটকে বিজেপির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র বিওয়াই বিজয়েন্দ্র। আগেই ঘোষণা হয়েছিল, বুধবার (১৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বিজয়েন্দ্র। লিঙ্গায়ত ভোট ব্যাঙ্ককে ফের গেরুয়া শিবিরে টানার লক্ষ্যেই পরিবারবাদের কাছে নতজানু হতে হল বিজেপিকেও।

Vijayendra: পরিবারতন্ত্রের কাছে নতজানু বিজেপিও, সভাপতির দায়িত্ব নিলেন ইয়েদুরাপ্পা-পূত্র
সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর দলীয় কার্যালয়ে বিজয়েন্দ্রImage Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2023 | 2:47 PM

বেঙ্গালুরু: কংগ্রেসকে বারবারই পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে বিজেপি। শুধু কংগ্রেস নয়, সমাজবাদী পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী প্রায় সব দলকেই গেরুয়া শিবির বলে পরিবারবাদী। এবার সেই পরিবারবাদের কাছে নতজানু হতে হল তাদেরও। কর্নাটকে বিজেপির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র বিওয়াই বিজয়েন্দ্র। আগেই ঘোষণা হয়েছিল, বুধবার (১৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বিজয়েন্দ্র। বিএস ইয়েদুরাপ্পা তো ছিলেনই, উপস্থিত ছিলেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং ডি ভি সদানন্দ গৌড়া-সহ দলের বশিষ্ট নেতারা। মনে করা হচ্ছে, লিঙ্গায়ত ভোট ব্যাঙ্ককে ফের গেরুয়া শিবিরে টানার লক্ষ্যেই ইয়েদুরাপ্পার ছেলেকে সভাপতি করতে এক প্রকার বাধ্য হল বিজেপি।

৪৭ বছরের বিজয়েন্দ্র, এবারের ভোটেই প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ১০ নভেম্বরই তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছিল বিজেপি। এর আগে তিনি দলের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। সভাপতির পদে ছিলেন নলিন কুমার কাটেল। দক্ষিণ কানাড় আসনের থেকে তিনবারের সাংসদ কাটেল, গত বছরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসাবে তাঁর তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন। সেই সময় বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁকে আরও এক বছর ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। এবার কাটেলের জায়গায় রাজ্য সভাপতি পদে অভিষেক হল ইয়েদুরাপ্পা-পুত্রের।

বিজয়েন্দ্রকে সভাপতি করার পর, বিজেপির বিরুদ্ধেও পরিবারবাদের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। শুধু বিরোধীরাই নয়, দলের অন্দরেও ইয়েদুরাপ্পার ছেলেকে দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। রমেশ জিগজিনাগী নামে এক দলিত নেতা অভিযোগ করেছেন, বিজেপিতে দলিত নেতাদের উন্নতির কোনও জায়গা নেই। বিজয়েন্দ্র অবশ্য দাবি করেছেন, দলীয় কর্মী হিসাবে তাঁর কাজের জোরেই তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন। শুধুমাত্র ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বলে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেছেন, “সকলকে একসঙ্গে নিয়ে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা এবং লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সর্বাধিক সংখ্যক আসনে জয়লাভ করাই আমার লক্ষ্য এবং প্রধান চ্যালেঞ্জও বটে।”

চলতি বছরের শুরুতে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। দেড়শোর বেশি আসনে জিতে রাজ্যে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। বিজেপির এই জঘন্য ফলাফলের পিছনে বাসবরাজ বোম্মাই সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ যেমন একটা বড় কারণ ছিল, তেমনই অন্যতম কারণ ছিল লিঙ্গায়ত ভোট ব্যাঙ্ক হাতছাড়া হওয়া। যে ভোট ব্যাঙ্ক বরাবর ছিল বিজেপির পক্ষে, তারাই এবার ভোট দিয়েছে কংগ্রেসকে। এর অন্যতম কারণ, ইয়েদুরাপ্পার মতো লিঙ্গায়ত নেতাকে দলের রাজ্য শাখার নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া, এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইয়েদুরাপ্পার পুত্র সেই হাতছাড়া হওয়া ভোটব্যাঙ্ককে ফের গেরুয়া শিবিরে ফেরাতে পারে বলে আশা করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।