রাহুল গান্ধী থাকতে আজমলকে প্রয়োজন পড়ল কেন? ভোটের মুখে আক্রমণ বিজেপির

অসমের (Assam) ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট নিয়েই চিন্তা সব শিবিরের। আর সেই ভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বদরুদ্দিন আজমল (Badruddin Azmal)

রাহুল গান্ধী থাকতে আজমলকে প্রয়োজন পড়ল কেন? ভোটের মুখে আক্রমণ বিজেপির
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 2:07 PM

গুয়াহাটি: অসমের ভোটে এবার কংগ্রেসের জোটসঙ্গী এআইডিইউএফ (AIUDF)। আর রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসকে নয় এই জোটসঙ্গীকেই মূল টার্গেট হিসেবে দেখছে বিজেপি (BJP)। অসমের সংখ্যালঘু ভোটই লক্ষ্য বদরুদ্দিন আজমল নেতৃত্বাধীন এই এআইডিইউএফের। এবার সরাসরি তাঁর নাম নিয়ে আক্রমণ শানালেন মন্ত্রী তথা অসমে বিজেপির সর্বেসর্বা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। তিনি বলেন, এই দলের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস (Congress) একধাক্কায় ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে।

সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ৮০-র দশকের প্রথম দিকে অসম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। পরে হিতেশ্বর সাইকিয়া ও তরুণ গগইয়ের নেতৃত্বের ফের ২৫ বছর লাগে ফের অসমে নিজেদের কতৃত্ব কায়েম করতে। কিন্তু বদরুদ্দিন আজমলের হাত ধরে কংগ্রেস ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে।

সম্প্রতি অসমে ‘৫ গ্যারান্টি’-র এক বিশেষ প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে সেই প্রচার শুরু করেন। সেই ক্যাম্পেনের খোঁচা দিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রশ্ন, আপনাদের তো ৫ টি গ্যারান্টি আছে, রাহুল গান্ধি আছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আছে, আপনাদের আজমলকে কী প্রয়োজন? উল্লেখ্য চলতি মাসেই ‘৫ গ্যারান্টি’-র ক্যাম্পেন শুরু করেছে কংগ্রেস। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ লক্ষ চাকরি, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, গৃহবধূদের রোজগার, চা বাগানের কর্মীদের ন্য়ূনতম আয় ও সিএএ বাতিল করার মতো প্রতিশ্রুতি।

অসমের ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট নিয়েই চিন্তা সব শিবিরের। আর সেখানেই বাজি মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে আজমলরা। তাঁকে নিশানা করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, আজমল এখনও অসমের সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। তাই তাদের সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিমানের মতো কাজ করেনি কংগ্রেস।

এআইডিইউএফ ও তিনটি বামপন্থী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে তৈরি করেছে ‘গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স’। অসমের বাঙালি মুসলিম বাসিন্দা, যাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সোচ্চার, তাঁদের সমর্থন নিয়ে আশাবাদী এআইডিইউএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। সুতরাং তাদেরও অস্ত্র ওই আইনের বিরোধিতা।

এআইডিইউএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমলকে অসমের শত্রু বলে ইতিমধ্যেই দাগিয়ে দিয়েছেন অসমের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অমিত শাহ বলেছেন, ‘ক্ষমতার লোভে এআইডিইউএফ-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। এতে অসমের কোনও উন্নয়ন হবে না।’