বিজেপি বিধায়কের অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে গুঞ্জন, পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে খোদ শুভেন্দু

BJP MLA: ইতিমধ্যেই পদ্মাসন থেকে নেমে গিয়েছেন মুকুল রায়। বিশ্বজিতের গতিবিধি নিয়েও দলের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্বজিৎ এমনিতেই ভীষণ ভাবে মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত।

বিজেপি বিধায়কের অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে গুঞ্জন, পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে খোদ শুভেন্দু
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2021 | 9:57 PM

সৌরভ গুহ: বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই একাধিকবার বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নাম। তখন অবশ্য তিনি তৃণমূলের টিকিটে জেতা বিধায়কই ছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষদিন লবিতে দাঁড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ছুঁয়ে তাঁর প্রণাম উস্কে দিয়েছিল জল্পনা। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় সরকারের অধিবেশন চলাকালীন আরও একবার আলোচনার শীর্ষে বিশ্বজিৎ। সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভায় বিজেপির ঘরে না গিয়ে তৃণমূলের মুখ্যসচেতকের ঘরে বসেছিলেন তিনি। বিকেলে নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরেও গিয়েছিলেন।

বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন বিশ্বজিৎ। সঙ্গে ছিলেন এক তৃণমূল বিধায়কও। সোমবার সারাদিন বিধানসভায় থেকেও বিজেপির ঘরে যাননি বাগদার বিধায়ক। বরং তাঁকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল শাসকদলের মুখ্য সচেতকের ঘরে। এরপর বিকেলে বিশ্বজিৎকে অভিষেকের দফতরে যেতে দেখা যায় বলেই দাবি সূত্রের।

সেখান থেকে বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এমএলএ হস্টেলে যান। এদিকে সেই সময় ওই হস্টেলে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। সূত্রের খবর, শুভেন্দু গোটা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখার সবরকম চেষ্টা করছেন। দুই বিধায়কের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতাও হয়। পরে যোগাযোগ করা হলে শুভেন্দু জানান, বিশ্বজিৎ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। বিধানসভা সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। সূত্রের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন খবর পেয়েই এদিন বিশ্বজিতের সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই পদ্মাসন থেকে নেমে গিয়েছেন মুকুল রায়। বিশ্বজিতের গতিবিধি নিয়েও দলের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্বজিৎ এমনিতেই ভীষণ ভাবে মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার একদিনের মধ্যেই বেসুরোও হতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। সে সময় দিলীপ ঘোষ গিয়েছিলেন এক দলীয় কর্মসূচিতে। অথচ সেখানে ছিলেন না এলাকার বিধায়ক। এ নিয়ে বেশ ভালমতোই জল ঘোলা হয়। সোমবারও বিশ্বজিতের আচরণে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে বিশ্বজিৎ দাস শাসকদলের মুখ্য সচেতকের ঘরে সময় কাটানোর কারণ হিসাবে বলেন, দেরী হয়ে যাওয়ায় অধিবেশনে যাননি। কিন্তু দু’দিন আগে বিজেপি হেস্টিংসে যে কর্মশালা করল তাতে কেন যাননি? কিংবা সোমবার বিধানসভাতে যখন দেরিই হয়ে গেল তা হলে দলের মিছিলে হাঁটলেন না কেন? এ সব প্রশ্নে কুলুপই এঁটে রেখেছেন মুখে।

আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন এফেক্ট! খুঁটিনাটি খোঁজ নিয়ে তবেই এবার ‘নিমন্ত্রণ’ রক্ষা করবেন তৃণমূল বিধায়করা

তবে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দুও এ ভাবে চোখের সামনে একের পর এক নেতার দলত্যাগ কি আর চুপচাপ বসে দেখবেন? দলীয় বিধায়কদের ধরে রাখার উপর তাঁরও রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করবে। তাই চেষ্টা তাঁকে চালিয়ে যেতেই হবে।