উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছি, ক্ষমা চাইব, তবে ওই অফিসারের কাছে নয়: অখিল গিরি
Akhil Giri: কেন ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে অখিল গিরি যে অভব্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ, সেই প্রসঙ্গে বিধায়কের ব্যাখ্যা হল, পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল, যার জন্য ওই ধরনের কথা বলেছেন তিনি।
কলকাতা: গত শনিবার থেকেই শিরোনামে অখিল গিরি। বন দফতরের অফিসারের উদ্দেশে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। মন্ত্রীপদে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনে আজ, সোমবারই কলকাতায় পৌঁছেছেন অখিল গিরি। কারমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে এদিনই যাচ্ছেন বিধানসভায়। নিজে হাতে মমতাকে ইস্তফাপত্র দিতে চান তিনি। তবে মন্ত্রিত্ব যাওয়া নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।
কেন ওই মহিলা অফিসারের সঙ্গে অখিল গিরি যে অভব্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ, সেই প্রসঙ্গে বিধায়কের ব্যাখ্যা হল, পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল, যার জন্য ওই ধরনের কথা বলেছেন তিনি। পদত্যাগ করার আগে TV9 বাংলাকে অখিল বলেন, “রেঞ্জ অফিসারের দুটো কথাতেই গ্রামবাসীরা রেগে যান। তিনি গ্রামবাসীদের গুণ্ডা বলেছেন। অথচ ওই গুণ্ডাদের পয়সাতেই উনি বেতন পান।”
অখিল গিরি আরও বলেন, “মন্ত্রিসভা থেকে চলে যাচ্ছি, তাতে কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু উত্তেজনার বশে যে কথাটা বলে ফেলেছি, তার জন্য আমি অনুতপ্ত। সুব্রত বক্সী বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী সারাদিন টিভিতে দেখার পরই পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।” অখিল জানান, ২০১১ সাল থেকে তিনি মন্ত্রী ছিলেন না, তাই মন্ত্রিত্ব যাওয়াটা কোনও বড় ব্যাপার নয়।
আধিকারিকের কাছে কি ক্ষমা চাইবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অখিল গিরি বলেন, কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। তবে আমার আচরণে মন্ত্রিসভা যদি কালিমালিপ্ত হয়ে থাকে, সরকারের ভাবমূর্তি যদি নষ্ট হয়ে থাকে, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে চিঠি লিখছি। এদিন বিধানসভায় গেলেও অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন না অখিল গিরি। নিজের হাতে চিঠি দেবেন বলেই বিধানসভায় যাচ্ছেন তিনি।