Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Netaji: ED-CBI থেকে DNA তদন্তের দাবি, জন্মদিনে নেতাজীকে ‘খুঁজতে’ বেরিয়ে কী কী বললেন নেতারা

Netaji: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো স্পষ্টই বললেন, “ওনার মৃত্যু রহস্য এখনও অজানা। CBI, ED, CID আছে। কেউ এই অন্তর্ধান নিয়ে সিদ্ধান্তে আসেনি। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট কেন তখন গৃহীত হয়নি, জানি না।”

Netaji: ED-CBI থেকে DNA তদন্তের দাবি, জন্মদিনে নেতাজীকে ‘খুঁজতে’ বেরিয়ে কী কী বললেন নেতারা
দিনভর কী চলল রাজনৈতিক মহলে? Image Credit source: TV 9 Bangla GFX
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2025 | 11:37 PM

কলকাতা: তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট আজও খোলেনি। জল্পনা যেমন চলছে, কল্পনাও বিস্তর। একটা সময় ছিলো ২৩ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মজয়ন্তীতে স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে শোনা যেত নেতাজী ফিরে এসো। কারণ, একটাই। মৃত্যুর জট আজও লুকিয়ে রহস্যের অতলে। যদিও উইকিপিডিয়া বলছে ৪৮ বছর বয়সে ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজীর। যদিও তা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। মৃত্যুর এই তারিখই এদিন সামনে এনে ফেলেছিলেন রাহুল গান্ধী। যা দেখে রে রে করে উঠলেন অনেকেই। দিনভর বিতর্কও হল খুব। খোঁচাও দিলেন অনেকে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সাফ বললেন, “সকলের সবকিছু জানা থাকে না। আর গান্ধী পরিবার সব সময় নেতাজীকে দাবিয়ে রেখেছে।” যদিও মৃত্যু রহস্যের জট না কাটা নিয়ে কংগ্রেসের তুলোধনা করলেন বেশিরভাগ রাজনীতিবিদই। 

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো স্পষ্টই বললেন, “ওনার মৃত্যু রহস্য এখনও অজানা। CBI, ED, CID আছে। কেউ এই অন্তর্ধান নিয়ে সিদ্ধান্তে আসেনি। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্ট কেন তখন গৃহীত হয়নি, জানি না। তবে, কমিশন তো বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব তো খারিজ করে দিয়েছে। নেতাজির পরিবার মনে করেন উনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। কিন্তু, সেটা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন আছে।” তাঁর দাবি, নেতাজির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেউই নেই। তাঁর সাফ কথা, “এতদিনে আমার চোখে পড়েনি।” বিতর্কের আবহেই রেনকোজি মন্দিরের চিতাভস্মর DNA পরীক্ষার দাবি এদিন আরও একবার জোরালভাবে করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। 

খানিক একই সুর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও। একসময় এই চেয়ারেও বসেছিলেন নেতাজী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, “স্বল্পদিন প্রশাসনে ছিলেন। পুরসভা চালিয়েছেন নেতাজীর দিশা বা নেতাজির মিশনে দেশ চললে আজ উন্নততর দেশের মধ্যে ভারত থাকত। দেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি হত না, সাম্প্রদায়িকতা হত না। দেশকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিতেন তিনি।” 

এদিনই আবার মহিষাদলে নেতাজীর ১২৮তম জন্মদিবস উপলক্ষে পদযাত্রায় পা মেলাতে দেখা যায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে নেতাজীর জন্মদিনে ছুটি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে বলেন, “নেতাজির সম্মানে আজ পর্যন্ত জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেনি। আমরা করেছি। নেতাজির ৬৪টি ফাইল আমরা জনগন কে দেখার জন্যে দিয়েছি।” অন্যদিকে নেতাজীর সঙ্গে আবার মমতার তুলনা করে জোর বিতর্ক করে ফেলেছেন তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের দফতরে অনুষ্ঠিত হয় সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী। সেখানেই সৌমেন বলেন, “নেতাজীর কাজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের মিল দেখতে পাই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সকলকে নিয়ে কাজ করতেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও সকলের জন্য কাজ করছেন।” কয়েকদিন আগে কার্যত একই তুলনা টেনে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষও।