Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ ক্লোন করে টাকা গায়েব? বায়োমেট্রিক ‘প্রতারণার’ ফাঁদ মহেশতলাতেও

Fraud Case: প্রতারকদের নয়া কারসাজির কথা উঠে আসছে। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক থেকে তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসছে। শহর থেকে জেলা, বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ফাঁদে পড়ছেন মানুষজন। আর এবার সেই একই ধরনের প্রতারণার শিকার মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর।

Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ ক্লোন করে টাকা গায়েব? বায়োমেট্রিক 'প্রতারণার' ফাঁদ মহেশতলাতেও
বায়োমেট্রিক প্রতারণার অভিযোগ (প্রতীকী ছবি)Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2023 | 4:29 PM

কলকাতা: ওঁৎ পেতে বসে রয়েছে প্রতারকদের দল। মুহূর্তের অসতর্কতাতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব করে দিচ্ছে টাকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফোনে মেসেজ ঢুকে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়ার। সম্প্রতি, প্রতারকদের নয়া কারসাজির কথা উঠে আসছে। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক থেকে তথ্য হাতিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসছে। শহর থেকে জেলা, বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ফাঁদে পড়ছেন মানুষজন। আর এবার সেই একই ধরনের প্রতারণার শিকার মহেশতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ কর। গত ৭ তারিখ তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। ১০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু প্রসেনজিৎবাবু বলছেন, তিনি ওই টাকা তোলেননি।

কীভাবে হল এই ঘটনা? কেন অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ ১০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গেল? খোঁজখবর নিতে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছোটেন ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান। প্রসেনজিৎবাবুর দাবি, সেই সময় তাঁকে ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়েছিল, যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ জালিয়াতি করে টাকা তুলে নিয়েছে। ব্যাঙ্কের থেকে তাঁকে আরও জানানো হয়, সম্ভবত রেশন তুলতে গিয়ে সেখান থেকে কোনওভাবে তাঁর আঙুলের ছাপ প্রতারকরা ক্লোন করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু প্রসেনজিৎবাবু তখন ব্যাঙ্ককে জানান, তিনি তো রেশন তুলতে যান না। তাহলে এই বিষয়টি হল কীভাবে?

এরপরই মহেশতলার ওই প্রোমোটারের মাথায় আসে, তিনি মাস দেড়েক আগে একটি জমির রেজিস্ট্রি করাতে বেহালার রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে জমির রেজিস্ট্রি করার সময় আঙুলের ছাপ দিতে হয়েছিল। প্রসেনজিৎ করের সন্দেহ, সম্ভবত সেখান থেকে তাঁর আঙুলের ছাপ কোনওভাবে ক্লোন করে টাকা তুলে নিয়েছে প্রতারকদের দল। ঘটনাটি বোঝার পর মহেশতলা থানার জিনজিরা বাজার ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। কিন্তু লোপাট হওয়া টাকা এখনও ফেরত পাননি ওই ব্যক্তি।

এদিকে ব্যাঙ্ক থেকে এভাবে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার পর এখনও উদ্বিগ্ন ওই প্রোমোটার। ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছেন। চিন্তায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টও ব্লক করে রেখেছেন। কোনও লেনদেন করতে পারছেন না। তাঁর একাধিক লোন চলছে, ছেলের স্কুলের ফি রয়েছে, সেসব নিয়ে এখন বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ওই ব্যক্তি।