Fraud Case: খপ্পরে সাংবাদিকরাও, KYC-র নাম করে গভীর ‘মায়াজাল’ প্রতারকদের

Fraud Case: আগে ওটিপি-লিঙ্ক পাঠিয়ে প্রতারণা করা হত। তবে এখন প্রতারকরা নিজেদের আপডেট করেছে। আধার-প্যান কার্ডের আঙুলের ছাপ চুরি করে প্রতারণা করছে। সে খবর একাধিকবার তুলে ধরেছে TV9 বাংলা। এবার ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করাতে হবে বলে ফোন করে খোদ TV9 বাংলার তিন সাংবাদিকের টাকা হাতানোর চেষ্টা প্রতারকদের।

Fraud Case: খপ্পরে সাংবাদিকরাও, KYC-র নাম করে গভীর 'মায়াজাল' প্রতারকদের
প্রতারকদের নজর এবার সাংবাদিকদের দিকে? Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Sep 19, 2023 | 6:43 PM

কলকাতা: ‘সতর্ক হন, আরও সজাগ থাকুন’, এখন এই বার্তাই দিতে হচ্ছে। কারণ প্রতারকরা নিত্যদিন ছক কষছে নতুন-নতুন উপায়ে কীভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া যায়। ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। আগে ওটিপি-লিঙ্ক পাঠিয়ে প্রতারণা করা হত। তবে এখন প্রতারকরা নিজেদের আপডেট করেছে। আধার-প্যান কার্ডের আঙুলের ছাপ চুরি করে প্রতারণা করছে। সে খবর একাধিকবার তুলে ধরেছে TV9 বাংলা। এবার ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করাতে হবে বলে ফোন করে খোদ TV9 বাংলার তিন সাংবাদিকের টাকা হাতানোর চেষ্টা প্রতারকদের। শুধু তাই নয়, যেনতেন প্রকারে তাঁদের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানার চেষ্টা।

TV9 বাংলার সাংবাদিক শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীর কাছে সোমবার একটি ফোন আসে। ওপার থেকে একটি পুরুষ কণ্ঠ নিজেকে ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসাবে পরিচয় দেন। সঙ্গে জানান যে ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আপডেট করাতে হবে সেই কারণে আধার এবং প্যান কার্ডের ছবি প্রয়োজন। তবে পেশাদার সাংবাদিক শর্মিষ্ঠা ঠিক ঠাওর করেছেন কোথাও একটা গলদ রয়েছে। বুঝতে পেরেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বাচন ভঙ্গী এমনটা হতে পারে না। তাই তিনি ব্যাঙ্কের নথি পাঠাননি। যদি ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করা না হয় তাহলে কে ফোন করেছিল তাঁকে?

একই ঘটনা ঘটেছে TV9 বাংলার অপর সাংবাদিক তাপসী দত্তর সঙ্গেও। ওই একই দিনে তাঁর কাছেও কেওয়াইসি আপডেটের জন্য একটি ফোন আসে। বেসরকারি একটি ব্যাঙ্কের নাম করে জানতে চাওয়া হয় সেখানে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে কি না। উত্তরে উনি জানান রয়েছে। এরপর একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর বলে তাঁর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় এটিই তাঁর অ্যাকাউন্ট কি না। কিন্তু তাপসী সন্দেহ করেন। ব্যাঙ্ক থেকে ফোন এলে নিশ্চয়ই তাঁর যাবতীয় তথ্য তাঁদের কাছে থাকবে? তাহলে ফের কেন অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চেয়ে ফোন করা হবে?

এখানেই শেষ নয়, অপর সাংবাদিক মৌমিতা দাসের কাছেও কেওয়াইসি আপডেট করাতে চেয়ে শনিবার একটি ফোন আসে। একটি পুরুষ কণ্ঠ ফোন করে জানান, তিনি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি। মৌমিতার আঙুলের ছাপ নাকি প্যানকার্ডে দেওয়া নেই। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেন মৌমিতা। তিনি জানান, প্যান কার্ডে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া রয়েছে। কিন্তু প্রতারক তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। ফের জানান, নতুন করে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এর উত্তরে মৌমিতা সাফ বলে দেন, যা করার তিনি ব্যাঙ্কে গিয়েই করবেন। তবে ফোনের ওপারের কণ্ঠ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর কনফার্ম করতে চান। তবে ওভার ফোন মৌমিতা সেই নম্বর জানাতে না চাইলে প্রতারক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নম্বর না দিলে অ্যাকাউন্ট ছ’মাসের জন্য ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। কিন্তু মৌমিতা সেই প্রতারণায় ফাঁদ না দিয়েই ফোন কেটে দেন।

সম্প্রতি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষাকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। রেশন তোলার জন্য তিনি আঙুলের ছাপ দিয়েছিলেন বায়োমেট্রিকে। সেই ছাপ চুরি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ করে টাকা জালিয়াতি হয়। ফলে, প্রতারকরা প্রতিদিন নতুন-নতুন উপায় বের করছে জালিয়াতির জন্য।