Mamata Banerjee: ‘পৃথিবীর সর্ব বৃহত্তম আইনজীবী বিকাশবাবু’, সুপ্রিম রায়ের পরই এবার বিকাশরঞ্জনের জন্য নোবেলের সুপারিশ করবেন মমতা
Mamata Banerjee: মমতা বলেন, "আমি অবাক হয়ে যাই, এখানে কেসটা করেছিলেন কে? বিকাশবাবু। তিনি তো পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম আইনজীবী। তিনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ় পাচ্ছেন না জানি না। পাওয়া উচিত। ভাবছি একটা রেকমেনডেশন করব।"

কলকাতা: বাছাই করা গেল না যোগ্য অযোগ্যদের। সুুপ্রিম নির্দেশে এক লহমায় চাকরি বাতিল ২৬ হাজার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কটাক্ষের সুরে সওয়াল করলেন, “বিকাশবাবু পৃথিবীর বৃহত্তম আইনজীবী। তাঁকে নোবেল দেওয়া উচিত। আমি তার জন্য রেকমেনডেশন পাঠাব।”
এই মামলার ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি জানান, তিনি এই রায় মেনে নিতে পারেননি। যাঁদের চাকরি গেল, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আর সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মমতা বলেন, “আমি অবাক হয়ে যাই, এখানে কেসটা করেছিলেন কে? বিকাশবাবু। তিনি তো পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম আইনজীবী। তিনি কেন এখনও নোবেল প্রাইজ় পাচ্ছেন না জানি না। পাওয়া উচিত। ভাবছি একটা রেকমেনডেশন করব।”
বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “এতগুলো মানুষের চাকরি যাওয়ার পর বিজেপির মন্ত্রী সুকান্তবাবু বলছেন, অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি গিয়েছে, এর জন্য আমি নাকি দায়ী! তো যখন আপনারা প্রথম কেস করলেন, তখন একবারও ভাবলেন না কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য? সেটা তো সরকারকে ভাবতেও দিলেন না। আপানারা নিজে যোগ্য তো? সব সময়ে বাংলাকে কেন টার্গেট করা হবে? আমার তো এখনও এক লক্ষ পদ ফাঁকা রয়েছে। শুধু এই কেসটার জন্য আমরা করতে পারছিলাম না। যেহেতু এটা বিচারাধীন ছিল। আগে এর উত্তর সামনে আসুক।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিনও চিরকূটে চাকরি প্রসঙ্গ তুলে সিপিএম-কে বিঁধলেন।এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে শোরগোলের আবহে সিপিএমের লোকাল কমিটির প্যাডের কাগজে লেখা চাকরির ‘সুপারিশপত্র’ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদল এই বিষয়টাকে ইস্যু করে। পাশাপাশি ২০০৭ সালের একটি চিরকূটে নাম জড়ায় তৎকালীন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নামও। এদিন সেই চিরকূট প্রসঙ্গ আবারও তোলেন মমতা।
মমতা বলেন, “এডুকেশন সিস্টেমটা কি কোলাপস করতে চাইছে বিজেপি সিপিএম? সিপিএম নিজের আমলে কী করত? চিরকূটে চাকরি দিত। গণশক্তিতে যতজন রিপোর্টার রয়েছে, তাঁদের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে চিরকূটে। তার তদন্ত হয় না?”
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমার কাজ সওয়াল করা। আইনি সংবিধানকে তুলে ধরা, সেই কাজটা আমি করেছি। সেই কারণেই তো আমরা উকিল। আমাকে দায়ী করতেই পারে। কারণ তারা লক্ষ্যভ্রষ্ট। যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের কথা না ভেবে, বোকার মতো ভাবছে আমি তাদের শত্রু।” তিনি আরও বলেন, “লোকে বিপদে পড়লে যেমন ভগবানের শরণ নেয়, তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়লে বিকাশ ভট্টাচার্য এবং সিপিএমের শরণ নেয়।”





