ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ় নেওয়ার পর কতজন অসুস্থ? প্রশ্ন হাইকোর্টের, উত্তরে কেন্দ্র বলল…
এই তথ্য পেতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সকল রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
কলকাতা: ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ় নেওয়ার পরেও কতজন আক্রান্ত বা অসুস্থ হয়েছেন? কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এই তথ্য জানার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই বলে বুধবার জানিয়েছে আদালত।
করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ ও নানাবিধ বিষয় সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এ দিন কেন্দ্রের কাছে টিকাকরণ পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সেই সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর টিকাপ্রাপকরা কেমন রয়েছেন সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নেই। কারণ সেটা জানার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোই এই মুহূর্তে নেই বলে দাবি কেন্দ্রের। তবে এই তথ্য পেতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সকল রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।
অর্থাৎ করোনার দুই ডোজ় টিকা নেওয়ার পর ঠিক কত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য রাজ্য সরকারগুলিকেও জানাতে হবে। টিকাকরণ পরবর্তী সমস্ত তথ্য যাতে বিশদে পাওয়া যায়, তার জন্য একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের কাছে থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরই সেই গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলির ওয়েবসাইটে সেই তথ্য আপলোড করে দেওয়া হবে। এমনটাই এ দিন জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে।
ভ্যাকসিন মামলায় আবেদনকারী আরও দাবি করেছেন যে, ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে থাকা ব্যক্তিবর্গের টিকাদানে খামতি হচ্ছে। এমনকী, গ্রামাঞ্চলে টেলিমেডিসিন পরিষেবাও সঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর দাবি। একই সঙ্গে মামলাকারী আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে আশা কর্মীদেরও নানা কাজে লাগানো হয়।
মামলাকারী ও কেন্দ্র, উভয় পক্ষের যুক্তি শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল মন্তব্য করেন, গোটা টিকাকরণ প্রক্রিয়াটা একটা বিরাট কর্মযজ্ঞের মতো। এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ যুক্ত রয়েছেন। সুতরাং, এখনই যে সবটা সুন্দরভাবে হবে সেটা প্রত্যাশা করা যায়ও না। কারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের পরিস্থিতি এবং সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে প্রথম থেকেই গোটা প্রক্রিয়া যে ত্রুটিহীন এবং মসৃণভাবে চলবে, সেটা কখনই আশা করা যায় না।
উল্লেখ্য়, গোটা দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০ কোটির কাছাকাছি ডোজ় প্রয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪৬ কোটি মানুষ একটি ডোজ় পেয়েছেন। উভয় ডোজ় পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে দুই ডোজ় পেয়েছেন ১ কোটির বেশি মানুষ। প্রথম ডোজ় প্রাপকদের সংখ্যাটা ২ কোটির সামান্য বেশি। আরও পড়ুন: ৫০-এর মধ্যে ৪৮ জনই ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের’! রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ