Partha Chatterjee: কাল সকালেই ওড়িশার পথে পার্থ, ভুবনেশ্বর AIIMS’এ নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

Partha Chatterjee: শনিবারই হাইকোর্টে যায় ইডি। এসএসকেএমে পার্থবাবুকে রাখতে নারাজ ছিলেন তাঁরা।

Partha Chatterjee: কাল সকালেই ওড়িশার পথে পার্থ, ভুবনেশ্বর AIIMS'এ নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Updated on: Jul 24, 2022 | 11:01 PM

কলকাতা: আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। রবিবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি কতটা অসুস্থ তা দেখবেন ওড়িশার হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এদিন বিকেলের পরই বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে মামলার শুনানি শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অর্ডার রিজার্ভে ছিল। রাত ৯টা নাগাদ হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হয়।

সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোরে এসএসকেএমের অ্যাম্বুল্যান্সে করে দমদম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS)। সেখানে কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রাইনোলজির মতো বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করবেন। যা যা পরীক্ষা সেখানেই হবে। বিকেল ৩টের মধ্যেই সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্টের সফট কপি এইমসের চিকিৎসকদের তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ ইডি, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে দিতে হবে। পাশাপাশি বিচারপতি বিবেক চৌধুরীকেও একটি কপি জমা দিতে হবে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন বারবার ইডির আইনজীবী দাবি করেন, এসএসকেএমে কেন চিকিৎসা করাতে হবে? কেন সেনা হাসপাতাল বা অন্য হাসপাতালে নয়? হাইকোর্টের বিচারপতিও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী স্পষ্ট বলেন, ‘সেফেস্ট জ়োন’। ইডির আইনজীবীরা বলেছিলেন, কল্যাণী এইমসে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু যেহেতু কল্যাণীর এইমসে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভুবনেশ্বর এইমসের প্রসঙ্গ উঠে আসে।

ইডির বক্তব্য ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসার বিষয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এসএসকেএমের পক্ষে রায় দিলেও তা আইন মেনে হয়নি। সেনা হাসপাতালে পাঠানোর পক্ষে আর্জি জানায় তারা। সেই মামলারই শুনানি ছিল। ইডির হয়ে সওয়াল করে এসভি রাজু। তিনি বলেন, একাধিক পাশ করা মেধাবী চাকরি পায়নি। তার বদলে অন্যরা চাকরি করছেন। ইডি সেই তদন্ত করতে গিয়ে ২১ কোটি টাকা পেয়েছে। ইডির আইনজীবী এদিন এজলাসে দাবি করেন, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না পার্থবাবু।

এদিন ইডির তরফে জোকা ইএসআই হাসপাতালের রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। বলা হয়, অন্য হাসপাতাল পার্থবাবুকে ‘ফিট’ বললেও এসএসকেএম তাঁকে অসুস্থ বলছে। হাসপাতালের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে মনে করছে ইডি। একইসঙ্গে ইডির তরফে বলা হয়, ‘লোয়ার কোর্ট’ কখনও ঠিক করতে পারে না কোন হাসপাতালে কাকে ভর্তি করা হবে। অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসার দাবির অধিকার থাকতেই পারে, কিন্তু নিজের ইচ্ছা মতো হাসপাতাল পছন্দ করতে পারেন না। ইডির বক্তব্য, সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত করছে তারা। পার্থবাবু যথেষ্ট প্রভাবশালী। পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী এদিন কোর্টরুমে বলেন, জোকার ইএসআই হাসপাতালের সার্টিফিকেটে কলম চালানো হয়েছে। ইডির অফিসাররা জোর করে তা লিখিয়েছেন।