High Court on Panchayat Election Case: ‘রাতারাতি ফেমাস’ মোহনপুরের বন্দুকধারী, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
Calcutta High Court: ভোটের অশান্তি ও হিংসার ঘটনা নিয়ে বিএসএফ আইজি-র কাছেও রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। ওই ব্যক্তির কাছে অস্ত্র কোথা থেকে এল, তা জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
কলকাতা: প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে পিস্তল হাতে এগিয়ে যাচ্ছে এক দৃষ্কৃতী। যাঁকে নিশানা করা হচ্ছে, তিনি কোনওরকমে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছেন। কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। এই ছবি দেখা গিয়েছে গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের দিন, পুলিশি ঘেরাটোপের মাঝে, দিনের আলোয় এভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সাহস এল কোথা থেকে? উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুরের সেই ঘটনায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।
ভোটের অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেই মামলার শুনানিতে মোহনপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, সে দিন পিস্তল হাতে যে ব্যক্তির ছবি দেখা গিয়েছিল তাঁর নাম ধীরজ হেলা। তিনি টিটাগড়ের বাসিন্দা। ঘটনার পরে তাঁকে মোহনপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “শুধু গ্রেফতার করেছেন? কোথা থেকে অস্ত্র পেল তার সন্ধান করুন।” ওই ব্যক্তি ‘এক রাতেই ফেমাস হয়ে গিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। এই ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্ট পরবর্তী শুনানিতে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
এদিকে, ভোটের অশান্তি ও হিংসার ঘটনা নিয়ে বিএসএফ আইজি-র কাছেও রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যা বলছে এবং মামলাকারী যে তথ্য দিচ্ছেন, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
ভোটের দিন সকালে বন্দুক উঁচিয়ে ওই ব্যক্তিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় ব্যারাকপুরের মোহনপুরে। নির্দল প্রার্থী অরিজিৎ দাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পরপর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই যুবকের ছবি।