নন্দীগ্রাম-মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ আদালতে, ধাক্কা খেল রাজ্য

তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে চলা মামলা সম্প্রতি প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার (WB Govt)। প্রত্যাহার করতে চাওয়া ১০ টি মামলায় শুক্রবার আপতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

নন্দীগ্রাম-মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ আদালতে, ধাক্কা খেল রাজ্য
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Mar 05, 2021 | 4:25 PM

কলকাতা: নন্দীগ্রাম (Nandigram Movement) জমি আন্দোলনে ফৌজদারি মামলায় (Criminal Case) অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে চলা মামলা সম্প্রতি প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার (WB Govt)। প্রত্যাহার করতে চাওয়া ১০ টি মামলায় শুক্রবার আপতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।

নন্দীগ্রামে নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ৪০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হলদিয়া কোর্টে আবেদন করে রাজ্য। ১৩ টি মামলা প্রত্যাহার করতে চাওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে শুক্রবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহারের একটা প্রবণতা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক আইন মেনে প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন হয়নি।”

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ভোটের মুখে এই মামলাগুলি প্রত্যাহার করার উদ্যোগ নেওয়ায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। পালটা মামলায় অভিযোগ তোলা হয়, একাধিক খুন, অপহরণ এবং খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করেছে অথবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি করতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, ‘এটি জঘন্যতম অপরাধ।’

আরও পড়ুন: সায়নী, কাঞ্চন, লাভলি, তারকা প্রার্থীর চমক মমতার তালিকায়

জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা ১৩ টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়, এই ভাবে বাকি জায়গা থেকেও যদি ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়া হয়, তাহলে বাকি মামলাগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে? ফৌজদারি মামলা অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, সে ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কীভাবে করতে পারে রাজ্য সরকার? সেই আবেদনেই সাড়া দিয়ে মামলাগুলি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী নীলাঞ্জন অধিকারী ও দীপক মিশ্র।

আরও পড়ুন: ব্যারাকপুরে রাজ, দমদমে ব্রাত্য, বালিগঞ্জে সুব্রত