Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Swastha Sathi: বাড়ল জটিলতা! স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এবার মামলা হাইকোর্টে, রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল আদালত

Calcutta High Court: কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরাসরি সরকারে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইনের বন্দোবস্ত করে নবান্ন।

Swastha Sathi: বাড়ল জটিলতা! স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে এবার মামলা হাইকোর্টে, রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল আদালত
রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 9:02 PM

কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে মানুষকে কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও রোগীর তরফে অভিযোগ এলে তার জন্য কী ব্যবস্থাই বা নেওয়া হচ্ছে তাও জানতে হলফনামা তলব করল আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

রাজ্য বলছে প্রতি বছর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রাপকের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ সরকার এই প্রকল্পের খাতে টাকার বাজেট কমাচ্ছে। কী ভাবে তা সম্ভব হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সরকার দু’কোটির বেশি মানুষকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দিয়েছে। তা ছাড়া কোনও হাসপাতাল যদি সুবিধা দিতে না চায় তাহলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলাকারী অবশ্য এ দাবি মানতে নারাজ।

চিকিৎসক কুণাল সাহা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাকারীর বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এনে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল সমগ্র রাজ্যবাসী এর সুবিধা পাবেন। অথচ কার্ড থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের সমস্ত মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়লে বরাদ্দ কী ভাবে কমছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী চিকিৎসক।

চিকিৎসক কুণাল সাহার দাবি, রাজ্য যতই বলুক মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন, বাস্তবের ছবিটা অন্যরকম। একটা বড় সংখ্যার মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও নিজের পকেটের টাকা খরচ করেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট মামলাকারীকেও একটি হলফনামা জমা দিতে বলেন।

সেই হলফনামায় মামলাকারী উল্লেখ করবেন, কতজন মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও নিজের টাকায় চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি ২০২২-এ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আম-জনতার চিকিৎসার সুবিধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা চালু করেছেন। এক কার্ডেই মুশকিল আসান! কিন্তু বহু বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে সেই কার্ড না নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী কড়া বার্তাও দেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে জরুরি। ধীরে ধীরে সেই পরিকাঠামো হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে চিকিৎসা হবে না। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড কারও যদি না থাকে তাকেও আমরা সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা থেকে কোনওরকম ভাবে বঞ্চিত করব না”

কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরাসরি সরকারে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইনের বন্দোবস্ত করে নবান্ন। নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হয় পাঁচটি ফোন নম্বর। তার মধ্যে একটি টোল ফ্রি নম্বর। এছাড়া চারটি নম্বরে স্বাস্থ্যসাথী ফেরানোর অভিযোগ জানাতে পারবেন রোগী ও তাঁর পরিবার।

আরও পড়ুন: Municipal Election: আজ সর্বদল, আগামিকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের