Nisith Pramanik: নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
Nisith Pramanik: হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

কলকাতা: তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। এবার গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।
২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারে দুটি সোনার দোকানের চুরি হয়। সেই চুরির মামলায় নাম জড়ায় নিশীথ প্রামাণিকের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আলিপুরদুয়ার আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী।
আজ হাইকোর্টে নিশীথের আইনজীবী বলেন, সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাঁর মক্কেলকে এই মামলায় পুলিশ মিথ্যে ফাঁসিয়েছে। শুনানি শেষে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ গ্রেফতারি পরোয়ানার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে একদিন আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হতে হবে নিশীথ প্রামাণিককে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, গত ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হতে তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মক্কেল ওইদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না জানিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানান। কিন্তু, তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
নিশীথের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতেই আসরে নামে তৃণমূল। ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ লেখা পোস্টার পড়ে কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কোচবিহারের লজ্জা বলে ঘাসফুল শিবির আক্রমণ শানায়। তবে তৃণমূলের আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে চাননি নিশীথ। গতকালই জলপাইগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আদালতকে আমরা সম্মান করি। তবে এগুলো মিথ্যে মামলা। রাজনীতিতে এরকম মিথ্যে মামলা হয়। রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধেও এরকম মামলা রয়েছে।”





