SSC Recruitment Case: ২৫,০০০ চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঠিক হবে সোমবার, চাকরি বাতিল কি হবে?
SSC Recruitment Case: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬ মাসের মধ্য়ে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। গত কয়েক মাস ধরে একটানা শুনানি চলেছে হাইকোর্টে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগে জেলে রয়েছেন,প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জেলে রয়েছেন প্রাক্তন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা। তবে এখনও সুবিচার পাননি বহু যোগ্য প্রার্থী। মাসের পর মাস রাস্তায় বসে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। অবশেষে আশার আলো! সোমবারই স্কুল সার্ভিস সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করতে চলেছে হাইকোর্ট। প্রায় ২৫ হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের ওপর।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে ৬ মাসের মধ্য়ে। গত বছরের নভেম্বর মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয় শুনানি। গত কয়েক মাস ধরে একটানা শুনানি চলেছে হাইকোর্টে। ৬ মাসের আগেই ঘোষণা হতে চলেছে রায়। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্ট।
এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি চলছিল কয়েক মাস ধরে। আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানিয়েছেন, এই সবকটি ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৬৪০ টি শূন্যপদ ছিল, দেখা যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনি আরও জানান, এই সব ক্ষেত্রে ছিল একাধিক অভিযোগ। র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি দেওয়া, ওএমআর শিটে শূন্য বা ১ পাওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া, তালিকায় না থাকা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব বিষয়গুলি শোনার পরই রায় দিতে চলেছে আদালত।
ফিপদৌস সামিমের দাবি, হাইকোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’দের চাকরি বাতিল হলে, যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাস্তায় যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের চাকরি হতে পারে। আইনজীবী মহলে শোনা যাচ্ছে, পুরো প্যানেল বাতিল হলে প্রায় ২৫০০০ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আর ‘অযোগ্য’দের চাকরি বাতিল হলে, সে ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা নেহাত কম হবে না।