Calcutta Medical College: ‘শিরদাঁড়া সোজা করে লড়াই করছি’, বলছেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা, কোন পথে রোগীদের ভোগান্তি শেষ হবে?

Calcutta Medical College: দিনভর রোগীরা অভিযোগ করেছেন, ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। এমনকী জটিল অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে।

Calcutta Medical College: 'শিরদাঁড়া সোজা করে লড়াই করছি', বলছেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা, কোন পথে রোগীদের ভোগান্তি শেষ হবে?
ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 11:14 PM

কলকাতা : শহরের মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ বা কর্মবিরতির ছবি নতুন নয়। কখনও চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে, কখনও হস্টেল বা অন্য কোনও দাবি দাওয়া নিয়ে অবস্থানে বসেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। রোগীদের ভোগান্তির অভিযোগ সামনে আসার পরও সে আন্দোলনে রাশ টানা যায়নি। আর এবার সেই তালিকায় নতুন নাম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। সোমবার থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে একটানা বিক্ষোভ চলছে শহরের অন্যতম বড় এই মেডিক্যাল কলেজে।

দিনভর রোগীরা অভিযোগ করেছেন, ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। এমনকী জটিল অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে। তবে মঙ্গলবার এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে, আর জি কররে পথেই কি উঠবে মেডিক্যালের বিক্ষোভ?

ছাত্ররা এখনও তাঁদের দাবিতে অনড়। আটকে রাখা হয়েছে সুপার সহ হাসপাতালে কর্তাদের। রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে এসে ফিরে যাচ্ছেন। কী বলছেন আন্দোলনকারীরা? তাঁদের দাবি, যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা সবাই পড়ুয়া। যাঁরা চিকিৎসক, তারা নিয়ম মাফিক কাজ করছেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। অস্ত্রোপচার স্থগিত করে দেওয়ার অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা শিরদাঁড়া সোজা করে আন্দোলন করছেন দেখলে তাঁদের অভিভাবকেরা গর্ব অনুভব করবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আরজিকর। অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে পরিষেবা কার্যত লাটে উঠেছিল। পরে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল আদালতে। এরপর ধাপে ধাপে উঠে যায় সেই আন্দোলন। এবারও তেমন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও আগে, ২০১৯ সালে আন্দোলন ব্যাপক আকার নিয়েছিল এনআরএস হাসপাতালে। রোগীদের মারে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এক জুনিয়র ডাক্তার। তার জেরেই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এনআরএসের আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসকেরাও। সমর্থন জানিয়েছিলেন অনেকেই। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। আর সম্প্রতি এইমসে আন্দোলনের ছবি দেখা যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ইস্যু যাই হোক না কেন, রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ কোনও অবস্থাতেই বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু সেই একই ছবি ফিরল কলকাতায়।