TET 2014: ফের ‘হেরাফেরি’! উচ্চমাধ্যমিকে ১০৯ শতাংশ? এমন ‘অসাধ্য সাধন’ পর্ষদও মানছে সম্ভব নয়

Primary TET: তালিকায় দেখা যাচ্ছে উল্লেখিত নম্বরের হিসেবে এক চাকরিপ্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের হিসেবে পেয়েছেন ১০.৯৬০। অর্থাৎ, ১০৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

TET 2014: ফের ‘হেরাফেরি’! উচ্চমাধ্যমিকে ১০৯ শতাংশ? এমন ‘অসাধ্য সাধন’ পর্ষদও মানছে সম্ভব নয়
প্রাথমিক টেট ২০১৪-র নয়া বিতর্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 5:29 PM

কলকাতা: ডিইএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি ফাঁসের অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board)। এরই মধ্যে আবার নতুন করে বিতর্ক। এবার টেট উত্তীর্ণদের নম্বর নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সোমবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বরের ব্রেক আপ প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থাৎ, টেটে প্রাপ্ত নম্বর, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর, প্রশিক্ষণের জন্য নম্বর এবং ভাইভা-র নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেখানেই নতুন করে বিতর্ক। তালিকায় দেখা যাচ্ছে উল্লেখিত নম্বরের হিসেবে এক চাকরিপ্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের হিসেবে পেয়েছেন ১০.৯৬০। অর্থাৎ, ১০৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

নতুন করে এই বিতর্ক শুরু হতেই তড়িঘড়ি ব্যাখ্যা দিতে আসরে নেমেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার বলেন, “মাধ্যমিকের জন্য পাঁচ নম্বর বরাদ্দ থাকে। উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। টেটের জন্য পাঁচ নম্বর, ট্রেনিংয়ের জন্য ১৫ নম্বর, ভাইভার জন্য পাঁচ নম্বর, অ্যাপটিটিউডের জন্য পাঁচ নম্বর এবং এক্সট্রা কারিকুলামের জন্য পাঁচ নম্বর থাকে। মোট ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে হিসেব হয়। আদালতের নির্দেশে গতকাল আমরা তালিকা প্রকাশ করেছি। আমাদের নজরে এসেছে, উচ্চমাধ্যমিকে দশের থেকে বেশি কেউ কেউ দেখতে পাচ্ছি। বোর্ডের তরফে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। কারণ দশের থেকে বেশি তো কেউ হতে পারে না। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ভুল হয়েছে, প্রযুক্তিগত কোনও ভুল হতে পারে। সেটি আমরা ঠিক করার চেষ্টা করছি।”

উল্লেখ্য, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ঐকিক পদ্ধতিতে টেটে একটি নম্বর দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিকে মোট নম্বর এবং প্রাপ্ত নম্বরের হিসেবে ঐকিক নিয়মে পাঁচ-এর মধ্যে যত হয়, সেটি দেওয়া হয় টেটে। একইভাবে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও মোট নম্বর ও প্রাপ্ত নম্বরের হিসেবে ১০-এর মধ্যে যত হয়, সেটি দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিকের জন্য বরাদ্দ ১০-এর মধ্যে এক চাকরিপ্রার্থী পেয়েছেন ১০.৯৬। আর এই নিয়েই যত বিতর্ক। যদিও গোটা বিষয়টিকে প্রযুক্তিগত কোনও ভুল হিসেবেই ব্যাখ্যা করছে পর্ষদ।

এক্ষেত্রে পরে যদি এই নম্বর সঠিক করা হয়, সেক্ষেত্রে ওই চাকরিপ্রার্থীর র‌্যাঙ্কও তালিকায় পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।