Cyclone Remal Update: ৩৮০ কিলোমিটার জুড়ে শুধু বিদ্যুতের তারই ছিঁড়ে গিয়েছে, আর কী কী বিপর্যয় ঘটাল ‘রেমাল’
Cyclone Remal Update: সিইএসসি অধীনস্থ এলাকাগুলির মধ্যে লো টেনশন বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছিল তিনটি, নো টেনশন ওভারহেড মেনলাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৪৯টি এলাকায়, ওভারহেড বিদ্যুতের তারে গাছ পড়েছিল ১৬টি জায়গায়। এই সমস্যাগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় আসার আগে থেকেই রাজ্য় জুড়ে শুরু হয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট। অন্ধকারে ডুবে যায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ। বিশেষত উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে সবথেকে বেশি লোডশেডিং হয়। আর ঝড়ের দাপটে একাধিক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাব স্টেশন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক খুঁটি। রাজ্যে কত ক্ষতি হল? সেই হিসেব দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষতির যে খতিয়ান তিনি তুলে ধরলেন মন্ত্রী, একনজরে-
রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ দফতরের অধীনস্থ ৬২টি সাবস্টেশনের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯টি মেরামত করা হয়েছে।
মোট ২৩৫০টি বাতিস্তম্ভ পড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ১৩৯৪টি লো টেনশন ও ৯৫৬টি হাই টেনশন বাতিস্তম্ভ।
৪,২৩৯টি জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপরে গাছ পড়ে গিয়েছে। লো টেনশন তারের উপরে ২,৪৩৪টি ও হাই টেনশন তারের উপরে ১৮০৫টি।
সব মিলিয়ে মোট ৩৮০ কিমি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। ৫৪০০টি ইন্সুলেটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোট ১৪০টি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ৭০ কিমি এবি কেবল নষ্ট হয়েছে।
এছাড়া সিইএসসি অধীনস্থ এলাকাগুলির মধ্যে লো টেনশন বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছিল তিনটি, নো টেনশন ওভারহেড মেনলাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৪৯টি এলাকায়, ওভারহেড বিদ্যুতের তারে গাছ পড়েছিল ১৬টি জায়গায়। এই সমস্যাগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, জল জমে থাকার কারণে একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। গাইঘাটা, গোবরডাঙা, সেরাপোল, হাড়োয়া, ঠাকুরনগর। নদীয়ার নগরউখড়া, বীরনগর। পূর্ব বর্ধমানের নবদ্বীপের শ্রীরামপুর। মুর্শিদাবাদের নসিপুরে কাজ করা যায়নি এখনও।