RG Kar: বদলে গেল তিলোত্তমার ‘মৃত্যুর সময়ও’! বিস্ফোরক তথ্য দিল পানিহাটি শ্মশান

RG Kar: পানিহাটির যে শ্মশানে তিলোত্তমাকে দাহ করা হয়েছিল, সেখানে রেজিস্টারে লেখা, 'মৃত্যুর সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট।' এই রেজিস্টার দেখেই ক্রিমেশান সার্টিফিকেট বা ঘাট সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে।

RG Kar: বদলে গেল তিলোত্তমার 'মৃত্যুর সময়ও'! বিস্ফোরক তথ্য দিল পানিহাটি শ্মশান
নির্যাতিতার ঘাট সার্টিফিকেটImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2024 | 3:12 PM

কলকাতা: অসঙ্গতির পর অসঙ্গতি! ‘তিলোত্তমা’র মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, সেই প্রশ্নে যখন উত্তাল গোটা দেশ, তখন আরও বড় ‘অসঙ্গতি’র প্রশ্ন সামনে এল। ৯ অগস্ট ঠিক কখন মৃত্যু হয়েছিল চেস্ট মেডিসিন বিভাগের তরুণী চিকিৎসকের? তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের সঙ্গে মিলই নেই ডেথ সার্টিফিকেটের? পানিহাটি শ্মশানের তরফ থেকে যা দাবি করা হচ্ছে, তা বিস্ফোরক।

গত ৯ অগস্ট সকালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় আরজি করের সেমিনার রুম থেকে। বেলা বাড়ার পর খবর যায় তাঁর পরিবারের কাছে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, ততক্ষণে বিক্ষোভ শুরু করেছেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। ফরেনসিক পরীক্ষার পর ওইদিনই আরজি করে হয় তিলোত্তমার ময়নাতদন্ত। তারপর রাতে বাবা-মায়ের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। ওই রাতেই দাহকাজ সম্পূর্ণ হয়। ঘটমাক্রম ছিল মোটামুটি এরকমই।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়, ৯ অগস্ট ভোর ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয় তিলোত্তমার। এবার TV9 বাংলার হাতে এল শ্মশানের রেজিস্টারের কপি। পানিহাটির যে শ্মশানে তিলোত্তমাকে দাহ করা হয়েছিল, সেখানে রেজিস্টারে লেখা, ‘মৃত্যুর সময় দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট।’ এই রেজিস্টার দেখেই ক্রিমেশান সার্টিফিকেট বা ঘাট সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

দুটি নথিতে উল্লেখ করা সময়ের মধ্যে এত ফারাক কেন? শ্মশান ম্যানেজারের বক্তব্য, ডেথ সার্টিফিকেট দেখেই ওই সময় (১২টা ৪৪মিনিট) লেখা হয়েছে। ম্যানেজার বলছেন, “কেউ বললেই তো আর লিখতে পারব না। ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল এই সময়টা। সেই জন্যই আমরা লিখেছি। কোনও ভুল হচ্ছে না। আমি কি ডাক্তারের ওপর দিয়ে যাব নাকি!”

এই অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন তিলোত্তমার বাবা-মাও। মৃত চিকিৎসকের বাবা বলেন, “আমার মেয়েটার ধর্ষণ আর খুনের পিছনে রয়েছে অনেক বড় চক্রান্ত। ব্যাপারটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই চক্রান্ত।”

অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসও। তিনি বলেন, “এটা বড় অসঙ্গতি। এটা কী করে হয়? এর থেকে অনেক কিছু সামনে আসবে। এই অপরাধ যারা করেছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।”