Dengue: ডেঙ্গির জীবাণুধারক স্ত্রী মশা, কলকাতার ল্যাবেরটরিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Dengue: মাইক্রোস্কোপ যন্ত্র সেগুলি উপর ধরে ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখা গেল সেগুলির বৃহত্তর রূপ। দুটি মশাকে দেখতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। গায়ে ডোরাকাটা দাগ, মাথার আকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি যেখানে তারা রক্ত সঞ্চয় করে রাখে সেই জায়গাটিও সম্পূর্ণ ভিন্ন।

কলকাতা: ডেঙ্গির মশা কেমন, তা জানতে পূর্ব ভারতের একমাত্র মশা চিহ্নিতকরণ ল্যাবেরটরিতে এবার TV9 বাংলা। ডেঙ্গিতে বিপর্যস্ত গোটা রাজ্য। বিপর্যয় নেমে এসেছে কলকাতার একাংশে। কিন্তু কেউ কি জানে, ডেঙ্গির জীবাণু বহন করে কোন মশা। কিন্তু সব মশার মধ্যে থাকে না ডেঙ্গির জীবাণু। ইডিস ইজিপ্টাই এবং ইডিস আলবোপিক্টাস নামক দু’রকম মশা বহন করে ডেঙ্গির জীবাণু। আর সেগুলি হচ্ছে মেয়ে মশা।
মশা কত প্রকার, সেগুলির মধ্যে কোনগুলি ভয়াবহ, সেগুলি সবই উঠে এল কলকাতা পুরসভায় এই পরীক্ষাগারে। একমাত্র কলকাতা পৌরসভার হাতেই রয়েছে এই ল্যাব। মশারি দিয়ে তৈরি খাঁচার মধ্যে ধরে রাখা হয়েছে ডেঙ্গির জীবাণুধারক মশা। একটি পাত্রের মধ্যে জলে কিলবিল করছে ইডিস ইজিপ্টাই এবং ইডিস আলবোপিক্টাস মশার লার্ভা।
মাইক্রোস্কোপ যন্ত্র সেগুলি উপর ধরে ডিজিটাল স্ক্রিনে দেখা গেল সেগুলির বৃহত্তর রূপ। দুটি মশাকে দেখতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। গায়ে ডোরাকাটা দাগ, মাথার আকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা, এমনকি যেখানে তারা রক্ত সঞ্চয় করে রাখে সেই জায়গাটিও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কীভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং মশাগুলিকে কীভাবে চিহ্নিতকরণ করা যায় সেগুলি সম্পূর্ণ হাতে ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই পরীক্ষাগারে। এমনকি মশা লার্ভা নষ্ট করতে যে স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তা যেমন তেমনভাবে দিলেই হয় না। সেগুলি পদ্ধতিও এখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বোঝানো হয়। ল্যাবের মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম চৌবাচ্চা। সেখানে কত ফুটের মধ্যে জল থাকলে কীভাবে স্প্রে করতে হবে সেটাও হাতে ধরে শেখানো হয়। মশা চেনা এবং তার লার্ভা নষ্ট করাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধারক অ্যানাফিলিস স্টিফেনশাহী এবং ডেঙ্গির জীবাণু ধারক ইডিস ইজিপ্টাই এবং ইডিস আলবোপেক্টাস মশা চিহ্নিত করা হয়।





