Dilip Ghosh On TET Agitation: ‘সরকার তো সবাইকে কামড়াচ্ছে…’ চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কর্মীর কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলীপের

Dilip Ghosh On TET Agitation: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "কিছুক্ষণের জন্য মুড চেঞ্জ করার জন্য ওঁ কখনও চেন্নাই যাচ্ছেন। কখনও দার্জিলিং যাচ্ছেন। সব কিছু হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আর সামলানোর ক্ষমতা নেই।"

Dilip Ghosh On TET Agitation: 'সরকার তো সবাইকে কামড়াচ্ছে...' চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কর্মীর কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলীপের
দিলীপ ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 8:41 AM

কলকাতা: “সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। পুলিস তৃণমূলের ক্যাডার।” চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশের কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানালেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “সরকার সবাইকে কামড়াচ্ছে। অথৈ জলে পড়েছে। ডিএ নেই। ধর্না চলছে। চাকরি নেই। বেতন নেই।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কিছুক্ষণের জন্য মুড চেঞ্জ করার জন্য ওঁ কখনও চেন্নাই যাচ্ছেন। কখনও দার্জিলিং যাচ্ছেন। সব কিছু হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আর সামলানোর ক্ষমতা নেই।”

চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশের অভিযানের বিষয়টি নিয়ে ভীষণভাবে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। দিলীপ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডার। পুলিশের প্রতি মানুষের ব্যবহারও পাল্টে যাচ্ছে। মানুষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশকে দিয়ে তোলা তলানো হচ্ছে। গরুর টাকা উঠছে। পুলিশের কাজ কি আমরা ভুলে গেছি।”

প্রসঙ্গত, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার। এক্সাইড মোড়ে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল। দিনভর অব্যাহত থাকে উত্তেজনা। ঝরে রক্ত। সপ্তাহ তিনের আগে ঘটে যাওয়া সেই একই চিত্র ধরা পড়ে বুধবার। পুলিশের প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও কামড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্মী। পুলিশের দাবি, যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দিয়েছেন, তাঁর হাতেও নাকি কামড়ে দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারী।

হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন সহযোদ্ধারা। অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। অভিযোগ আরও বড়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, “একজন অফিসার বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব…” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার।