ভিডিয়ো: ‘ও মরে গেলে, সব দায়িত্ব আমরা নিয়ে নেব’, অরুণিমার অসুস্থতা নিয়ে পুলিশ অফিসারের ‘প্রতিশ্রুতি’

TET Agitation: চিকিত্‍‍সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন।

ভিডিয়ো: 'ও মরে গেলে, সব দায়িত্ব আমরা নিয়ে নেব', অরুণিমার অসুস্থতা নিয়ে পুলিশ অফিসারের 'প্রতিশ্রুতি'
হেয়ার স্ট্রিট থানার অভিযুক্ত এই পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 11:42 AM

কলকাতা: হকের চাকরির দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। অথচ যত দিন গড়াচ্ছে, ততই তাদের চোখেমুখে একদিকে আশঙ্কা, অন্যদিকে লড়াইয়ের জেদ বাড়ছে। কিন্তু এতো করেও চাকরি কী জুটবে? জানেন না কেউই। তাই অগত্যা দফায় দফায় আন্দোলনই ভরসা। আন্দোলনে পথে নেমে পুলিশের কামড়ও খেলেন চাকরিপ্রার্থী। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত অশান্ত লালবাজার চত্বর।

ওঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষক হতে চেয়েছেন। ভবিষ্যতে হতে চেয়েছেন মানুষ গড়ার কারিগর। অভিযোগ, হকের চাকরির দাবি জানাতে গিয়ে শেষে কিনা পুলিশকর্মীর কামড় খেতে হল চাকরিপ্রার্থীকে। প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুরে উত্তাল এক্সাইড মোড়। রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। বিক্ষোভ চলে শিয়ালদহ স্টেশনেও। দুপুরে উত্তাল চেহারা নেয় এক্সাইড মোড়। নিয়োগ চেয়ে বাসের চাকার নীচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। সরতে না চাওয়ায় টেনে হিঁচড়ে সরানো হয় তাঁদের। বেশ কয়েকজন আহতও হন।

অভিযোগ, ক্যামাক স্ট্রিটে আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারী এক মহিলার হাতে কামড়ে দিয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। যদিও অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা পুলিশের অভিযোগ ওই আন্দোলনকারীই পুলিশকর্মীকে কামড়ে দিয়েছেন। আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ প্রায় তিরিশজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

চিকিত্‍‍সা চেয়েছিলেন অরুণিমা। সূত্রের খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানায় যখন অরুণিমাকে আটক করে রাখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন সহযোদ্ধারা। অভিযোগ, প্রাথমিক পর্যায়ে অরুণিমার চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না পুলিশ। অভিযোগ আরও বড়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, “একজন অফিসার বলেন ওঁ যদি মারা যায় সেই দায় আমরা নেব…” পরে অবশ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় আক্রান্ত অরুণিমার। শুনুন কী বললেন তিনি…

এরপরের ছবিটা লালবাজারের। ৩০ জনকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়ার পরই ফের বিক্ষোভ। অরুণিমা পাল-সহ অন্যদের মুক্তির দাবিতে লালবাজারের বাইরে চলে বিক্ষোভ। শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় অরুণিমা-সহ প্রায় তিরিশ জন বিক্ষোভকারীকে। সূত্রের খবর, জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। কিছু বিক্ষোভকারীকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয় শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে। নির্দিষ্ট জায়গায় নামানো হয়নি বলেও পুলিশের সঙ্গে বচসা বিক্ষোভকারী মহিলাদের। অরুণিমার গ্রেফতারির খবর জানতে পেরে চরম উৎকন্ঠায় তাঁর পরিবার। অরুণিমার শারীরিক অবস্থা নিয়েও চরম উদ্বিগ্ন তাঁর স্বামী, সন্তান সহ পরিবারের অন্যান্যরা।

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। মায়ের জন্য সুবিচারের দাবি করেছে অরুণিমার মেয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের মুক্তির দাবিতে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করে চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ। টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের সরায় পুলিশ। মাথা ফেটেছে এক বিক্ষোভকারীর। সকালের পরিস্থিতি আরও থমথমে।