E-Nuggets: আরও ৪৭ লাখ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সির সন্ধান, ই-নাগেটস কাণ্ডে বড় সাফল্য ED-র
Enforcement Directorate: শুক্রবার ইডির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, অনলাইন গেমিং প্রতারণা কাণ্ডে আরও ক্রিপ্টো কারেন্সি ফ্রিজ করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সমতূল্য।
কলকাতা: অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণার শিকড় খুঁজে বের করতে আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার টাকা কোথায় কোথায় রাখা হত, তার খোঁজ চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ই-নাগেটস প্রতারণায় ক্রিপ্টো কারেন্সির যোগ পেয়েছে ইডি। বুধবাই প্রায় ১৩ কোটি (১২ কোটি ৮৩ লাখ) টাকা মূল্যের বিটকয়েন ফ্রিজ করেছিল ইডি। এবার আরও ক্রিপ্টো যোগের সন্ধান। শুক্রবার ইডির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, অনলাইন গেমিং প্রতারণা কাণ্ডে আরও ক্রিপ্টো কারেন্সি ফ্রিজ করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সমতূল্য। এখনও পর্যন্ত ই-নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডে ইডি মোট ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে ওই টুইটারে জানানো হয়েছে।
ED has freezed the crypto currencies equivalent to Rs 47.64 Lakhs under PMLA, 2002, in respect to an investigation being conducted against one Aamir Khan and others relating to the Mobile Gaming Application, namely E-nuggets. Total Seizure is now Rs. 31.35 Crore in this case.”
— ED (@dir_ed) September 30, 2022
উল্লেখ্য, অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশও এই ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে। কলকাতা পুলিশের হাতেও আমির খানের ক্রিপ্টোকারেন্সি যোগের সন্ধান মিলেছে। কলকাতা পুলিশের তদন্তে ই-নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার সমতূল্য ক্রিপ্টোকারেন্সির খোঁজ পেয়েছিল। এবার ইডির হাতেও একের পর এক তথ্য উঠে আসছে লোক ঠকানোর কারবারের সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি যোগের।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের কাছে বছর দেড়েক আগেই এই অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ এসেছিল। পার্ক স্ট্রিট থানায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল ফেডারাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর সম্প্রতি গার্ডেনরিচ এলাকায় ইডির অভিযানে আমির খানের বাড়ির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। খাটের তলা থেকে কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে প্রতারণা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।