Maneka Gambhir: মানেকা কি আদৌ ভারতের নাগরিক? ইডির প্রশ্নে শোরগোল প্রধান বিচারপতির এজলাসে
Enforcement Directorate: ইডির দাবি, মানেকা গম্ভীর আদালতকে মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ভারতের নাগরিক। কিন্তু মানেকা ভারতের নাগরিক নন বলে দাবি ইডির।
কলকাতা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মানেকা গম্ভীর (Maneka Gambhir) মামলার শুনানি ছিল। মূলত দুটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। প্রথমত, তাদের দাবি বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিটারমিনেশন নেই এই মামলা শোনার। তাই তার কাছে এই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। কিন্তু তিনি সেই আবেদনকে গ্রহণ করে রক্ষাকবচ দিয়েছেন। দ্বিতীয় দাবি, মানেকা গম্ভীর আদালতকে মিথ্যা কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ভারতের নাগরিক। কিন্তু মানেকা ভারতের নাগরিক নন বলে দাবি ইডির।
বুধবার হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় এএসজি (অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল) অশোক চক্রবর্তী জানান, বিচারপতির এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নেই। ফলে মামলা অপ্রাসঙ্গিক। আপনা থেকেই খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। সিবিআই বা ইডি – এই ধরনের এজেন্সির বিরুদ্ধে পুলিশ নিস্ক্রিয়তার মামলা করা যায় না। কিন্তু মামলাকারী পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করেছিলেন। বিচারপতি অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাকবচ দেওয়ার সময় কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশে বলা আছে, সেটা বাধ্যতা মূলক। ফলে এই মামলা খারিজ করা উচিত।
ইডির তরফের আইনজীবী আরও বলেন, মামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন দেওয়ার পর তিনি তাতে হাজির হয়েছিলেন। তাঁকে নতুন করে ইডি কোনও সমন পাঠায়নি। তাহলে এই মামলার প্রাসঙ্গিকতা কোথায়?এই মামলা খারিজ হওয়া উচিত। মামলাকারী ভারতীয় নাগরিক নন, সেই তথ্য লুকিয়ে রেখেছিলেন সিঙ্গেল বেঞ্চের মামলাতে ।
অন্যদিকে মামলায় মানেকা গম্ভীরের তরফের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, অহেতুক দিল্লীতে ডেকে যাতে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়। আমি একজন পরিচিত রাজনৈতিক নেতার শ্যালিকা মানেই যেন আমাকে অকারণে যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হয়। আমি আমার অধিকার সুনিশ্চিত করতে চাই। আমি কোনও তথ্য গোপন করিনি।” মানেকার আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁকে সমন পাঠানো হলে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে হাজির ছিলেন। পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। এখন আর্জি জানানো হয়েছে যাতে দিল্লিতে না জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মানেকা তরফে তাঁর আইনজীবী বলেন, “রাজনৈতিক ইস্যু খাড়া করে কাউকে অহেতুক হেনস্থা করা যায় না। আমি ভারতীয় নাগরিক না হলেও, দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বাসিন্দা। আমার অধিকার আছে আদালতের কাছে আর্জি জানানোর যাতে অযৌক্তিক ভাবে হেনস্থা করা না হয়। আমি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছি। তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।”
অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “মামলায় তিনি এক জায়গায় লিখেছেন তিনি ভারতের নাগরিক। পরে আবার লিখেছেন নাগরিক নন, ভারতের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। তিনি থাইল্যান্ডের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, তিনি পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় নাগরিক হিসাবে।” আগামিকাল ফের মানেকা মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।