বাই বাই বাম: শতরূপ-ঐশী-মীনাক্ষী, তরুণ ব্রিগেডও অক্সিজেন জোগাতে পারল না সিপিএমকে
West Bengal elections 2021: ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় এ রাজ্যে বিরোধীদের প্রধান মুখ ছিল সিপিএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা।
কলকাতা: বছর ১৫ আগেও এই বাংলা ছিল লাল দুর্গ। গত কয়েক বছরে তৃণমূল বারবার বলেছে, বামেরা (Left) নাকি ‘সাইন বোর্ড’। ২০২১ সালের ভোটের ফল বের হওয়ার পর সেটুকুও আর রইল না। কার্যত জমানত জব্দ হল বাম প্রার্থীদের। সংযুক্ত মোর্চা গড়ে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির হাত ধরে বিমান, সেলিম, সুজনরা ভেবেছিলেন সংখ্যালঘু ভোটের কিছুটা অন্তত আসবে। সে গুড়েও মুঠো মুঠো বালি পড়ল। সংযুক্ত মোর্চার হাতে এল একটা মাত্র আসন। তাও আব্বাসের ভাই নওশাদ সিদ্দিকি না থাকলে সেটাও পেত না, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় এ রাজ্যে বিরোধীদের প্রধান মুখ ছিল সিপিএম-কংগ্রেস জোটের নেতারা। বিভিন্ন ইস্যুতে বিধানসভায় মুখর হতেন সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তীরা। সাংবাদিকদেরও যা বলার তাঁরাই বলতেন। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকেই বাম শিবিরে ভাটা দেখা দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে একটাও আসন জেতেনি বামেরা। অথচ ২০০৭ সালে ৩৭টাতে তাঁদের রাজত্ব ছিল। একুশের বিধানসভা ভোটে একেবারে ধুয়ে মুছে সাপ হয়ে গেল বামেরা। বাংলার রাজনীতিতে একেবারেই অপাংক্তেয়।
আরও পড়ুন: সবুজ ঝড়ের মুখে ‘আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন’ দিলীপের
একুশের ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যাচ্ছে শতাংশের নিরিখে তৃণমূল পেয়েছে ৪৮.৫ ভোট। বিজেপি ৩৭.৬ শতাংশ। সংযুক্ত মোর্চা পেয়েছে ৮.৩ শতাংশ। অন্যান্যরা ৩.৮ শতাংশ। রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ বামেদের ছিল। এবার তারা সেটাও সংরক্ষিত করতে পারেনি। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, জামুড়িয়ায় ঐশী ঘোষ, সিঙ্গুরে সৃজন ভট্টাচার্যের মত বামেদের তরুণ ব্রিগেডও দলকে অক্সিজেন দিতে ব্যর্থ।