Sandip Ghosh: ‘ডেডবডি’রও প্যাকেজ সিস্টেম! আজব খেল চলত আরজি করে

Sandip Ghosh: তারক চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমার কথা বিশ্বাস করতে হলে শেষ ৬ মাসের খাতা বের করে, যে কোনও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেখুন পার্টিদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে।

Sandip Ghosh: 'ডেডবডি'রও প্যাকেজ সিস্টেম! আজব খেল চলত আরজি করে
আরজি করে মৃতদেহ নিয়েও ব্যবসা!Image Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2024 | 7:00 PM

কলকাতা: ডেডবডির প্যাকেজ! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এরকম নিয়মই আরজি করে চালু ছিল বলে দাবি করেছেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন কর্মী। তারক চট্টোপাধ্য়ায় নামে ওই প্রাক্তন কর্মী মর্গে কাজ করতেন। আপার ডিভিশন ক্লার্ক হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ছিল অনেক। কাজও করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। তাই মর্গে আনাচে-কানাচে কী হচ্ছে, সে খবর তাঁর কাছে পৌঁছে যেত ঠিক। সেই ব্যক্তিই অভিযোগে জানালেন, কীভাবে টাকা নেওয়া হত মৃতের পরিবারের কাছ থেকে।

“আমার কথা বিশ্বাস করতে হলে শেষ ৬ মাসের খাতা বের করে, যে কোনও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেখুন পার্টিদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে। আর সেই টাকা যেত সন্দীপ ঘোষের কাছে।”

মর্গ থেকে যে বিপুল টাকা তোলা হত, আর তা যেত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাছে, সে কথা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে বলছেন তারক চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, মর্গের রেজিস্টার খাতা থেকে কয়েকটি পরিবারের ফোন নম্বর বের করলেই সত্যিটা ফাঁস হয়ে যাবে।

এই খবরটিও পড়ুন

মৃতদেহ নিয়ে কীভাবে চলত ব্যবসা? প্রাক্তন কর্মীর দাবি, পরিবার মৃতদেহ নিয়ে মর্গে পৌঁছলেই তাঁদের প্যাকেজের অফার দেওয়া হত। তারক বলেন, “ভাল পোশাক-আসাক পরে এলে তো কথাই নেই। তাঁদের বলা হত- বডি আগে ছেড়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে কাচের গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। বদলে চাওয়া হত টাকা। ধরা যাক কারও বাড়ি কৃষ্ণনগরে, যাতায়াতের খরচ বলা হল, চার হাজার টাকা, আর সব মিলিয়ে ১২ হাজার টাকার প্যাকেজ।” ১০ বা ১২ হাজার টাকার নীচে কোনও কথা হত না বলেই দাবি ওই প্রাক্তন কর্মীর।

তারক চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমার কথা বিশ্বাস করতে হলে শেষ ৬ মাসের খাতা বের করে, যে কোনও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেখুন পার্টিদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে। আর সেই টাকা যেত সন্দীপ ঘোষের কাছে।” মর্গটাকে নরক বানিয়ে রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেছেন ওই ব্যক্তি।